আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আশাশুনিতে এক বিধমা মা নিজের ছেলে, বউমা ও তাদের ছেলেদের অত্যাচারে দুর্বিসহ জীবন যাপন করে চলেছে। দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ মা স্থানীয় ভাবে সমাধান না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের মৃত শুকুর আলি সরদারের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন তার জীবনের করম্নন পরিণতির হাত থেকে বাঁচতে সহযোগিতার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন। চরম হতাশা ও চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ৩৫/৩৬ বছর পূর্বে তার স্বামী ইন্ত্মেকাল করেন। সংসার জীবনের ঘানি টানতে গিয়ে বিপর্যস্ত্ম হয়ে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ভিবৃত্তির মত অভিশপ্ত পেশা বেছে নিতে হয় তাকে। কিন্তু তাতেও সংসার নামের বিশাল বহর ঠিকঠাক চালাতে পারছিলেন না তিনি। এক পর্যায়ে তিনি সন্ত্মাদের নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে নিজে রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ ও ছেলেকে অন্যকাজে ঢুকিয়ে দেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে আবার সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। কিন্তু মায়ের আচলের নীচে বেশিদিন থাকেনি সন্ত্মানরা। বিগত প্রায় ২০ বছর সন্ত্মানরা মাকে খেতে দেয়না, কাপড় চোপড় দেয়না, এমনকি চিকিৎসা খরচ ও পথ্য কেনার খরচ তাদের হাত থেকে বেরোয়না। ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সুদৃষ্টিতে তার একখানা বিধবা ভাতার কার্ড হয়। ৩ মাস পরপর ১৫০০ টাকা পান তিনি। এই টাকা ও ভিÿা করে পাওয়া চাউল-পয়সা দিয়ে কোনরকমে চলে আসছে তার ব্যক্তিগত সংসার। যেখানে সন্ত্মানদের মায়ের দেখভাল করার কথা সেখানে উল্টো ছেলে, বউমা ও তাদের ছেলেমেয়েদের দ্বারা অসহনীয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন উপহার পেয়ে আসছেন তিনি। নির্যাতন করেই ÿান্ত্ম হয়না তারা, তারা মায়ের মাথা গোজার ঠাঁই বসতভিটা থেকে বের করে দিয়ে থাকে তারা। বিধবা আনোয়ারা ছোট্ট বাচ্চার মত কেঁদে কেঁদে বলেন, খেতে দেয়না, কাপড় চোপড় দেয়না, শীত-বর্ষা-গরমের সময় নেই কোন ব্যবস্থা, ভাল ও শান্ত্মনা দিয়ে কথা বলা দূরে থাক, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দূর দূর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে সারাদিন বাইরে বাইরে কাটিয়ে রাতে অন্ধকারে লুকিয়ে বাড়িতে থাকার চেষ্টা করি। সবশেষ ১০/১২ দিন আগে বড় ছেলে একই ভাবে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল।
এব্যাপারে তিনি পুত্র, পুত্রবধু ও পৌত্রদের বিরম্নদ্ধে প্রতিকারের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।