বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সুইজারল্যান্ডে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জুরিখ বিএনপির প্রস্ততি সভা মুন্সীগঞ্জে মরহুম গোলাম মোস্তফা ওরফে (মেঘু মোল্লা)র ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ও দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই,দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই:এ্যাডঃ এ,বি,এম,সেলিম সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন  মধ্যনগরে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা বোয়ালখালীতে গরু চুরি প্রতিরোধে খামারিদের সভা  ব্যাটারিচালিত রিকশা নিবন্ধনে বছরে রাজস্ব আসবে ৫ হাজার কোটি টাকা-যাত্রী কল্যান সমিতি  বাঘায় আনিসুর রহমানের খুনি গেপ্তার তাহিরপুরে ক্রিকেট খেলা উদ্বোধন করলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুনাব আলী

আশাশুনির শ্রীউলায় যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাগৃ হবধূকে হত্যা ঘাতক স্বামী পলাতক শাশুড়ি আটক

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩৭৭ বার পঠিত

আহসান উল্লাহ বাবলু,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:

আশাশুনির শ্রীউলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের বারান্দায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে এমন প্রচার করার অভিযোগ ঘাতক স্বামী সহ পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামে। এ ঘটনায় গৃহবধূর শাশুড়ি নাজমা বেগমকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘাতক স্বামীসহ পরিবারে অন্যরা সবাই পলাতক রয়েছে। এ হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে অত্যন্ত চতুর চালাক ঘাতক স্বামী আরিফুল মা সহ পরিবারের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে আত্মহত্যার প্রচার করে গ্রামের মানুষ ও থানা পুলিশের নজর এড়াতে গৃহবধু আসমার ঝুলন্ত মরাদেহ বাড়ির বারান্দার ক্লক্সিবল গেটে ঝুলিয়ে দেয়। এমন খবরে আশেপাশের লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে। এসময় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দিপংকর বাছাড় দীপু দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশেপাশের লোকজনের কাছে শোনা বোঝার পর আশাশুনি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। ততক্ষনে ঘাতক স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। তবে শাশুড়ি পার্শ্ববর্তী এক গ্রামে আত্মগোপনে থেকে পরিস্থিতি উপলব্ধি করছিল। থানা পুলিশ খবর পেয়ে মাদক ও সন্ত্রাসের আতঙ্ক সাহসী মানবিক থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মমিনুল ইসলাম পিপিএম এর নের্তৃত্বে সাহসী ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসাইন, এস আই নবাব সহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে অন্তঃসত্তা গৃহবধু আছমা খাতুনের বাড়ির বারান্দার ক্লক্সিবল গেটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে । নিহতের লাশ উদ্ধারের পরে শ্রুতহাল রিপোর্ট তৈরি পূর্বক লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ এঘটনায় ঘাতক স্বামী আরিফুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্যদের আটক না করতে পারলেও নিহত গৃহবধুর শাশুড়িকে আটক করেছে। এবিষয়ে খোজ খবর নিয়ে জানা গেছেশ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খেজুরআটি গ্রামে আব্দুস সাত্তার সরদারের কন্যা আসমা খাতুন (২২) কে পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামের নূর মোহাম্মদ সানার ছোট পুত্র আরিফুল সানা (২৮) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই মটর সাইকেল কেনার বায়নায় স্ত্রীর মাধ্যমে শশুরের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে বসেন। গৃহবধু আসমা খাতুন তার সুখের জন্য পিতাকে একথা জানালে তার পিতা বলেন আমি গরীব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব। এখবর স্বামীকে বলে আব্বার কাছে তোমার টাকার কথা বলেছিলাম কিন্তু এত টাকা আমার গরীব পিতা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন। ফলে যৌতুক লোভী স্বামী আরিফুলের এ আশা পুরন না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্তঃসত্তা গৃহবধুকে মারধর ও খারাপ ব্যবহার করে বাড়ী হইতে বের করে দিলে গৃহবধু আছমা খাতুন বাপের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু স্বামী আরিফুল তার আর কোনো খোজ খবর নেয় নি। ও শশুরকে ছাপ জানিয়ে দেন তার দাবীকৃত মোটর সাইকেল কেনার ২ লক্ষ টাকা দিলে আসমাকে নিয়ে ঘর সংসার করবে। অনেক চেষ্টা করেও স্বামী স্ত্রীর ঘর সংসার জোড়া লাগাতে না পেরে অবশেষে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে পিতা আব্দুস সাত্তার কন্যা আসমাকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন মামরা দায়ের করে। মামলা চলাকালীন সময়ে অত্যান্ত চতুর চালাক স্বামী আরিফুল ও তার পরিবারের লোকজন বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট ক্ষমা চেয়ে আর এরকম করবে না অঙ্গীকার নামা দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে নিয়ে যান। ঘটনার কিছুদিন যেতে না যেতেই কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে হয়রানী করা হলো ও ২ লক্ষ টাকা গাড়ী কেনার টাকা দিল না এ নিয়ে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে প্রায় গোলযোগ করত। অবশেষে ঘটনার দিন ভোর রাতে পরিকল্পিত ভাবে তাকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লে আত্মহত্যা করেছে এমন প্রচার করে ঘটনাথেকে বাঁচার জন্য গলায় ফাস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে গ্রামের লোকজনকে চেচামেচি করে জানায়। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) এর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা পূর্বক সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্ত জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছেত। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘাতক স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। নিহতের শাশুড়ী পার্শ্ববর্তী এক গ্রামে আছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসমার বড় ভাই সাইফুল সরদার বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ৫ জনকে বাদী করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাতক স্বামী ও অন্যান্যদের গ্রেফতারে আশাশুনি থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযানে নেমেছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।