শামছুল আলম আখঞ্জী,তাহিরপুর( সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ-
দেশের নিন্মাঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা। অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল হলেই, বন্যায় প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। তখন হাওর বাওর, নদ-নদীতে উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের আঘাতে ভেঙে ছুড়ে নিয়ে বসতবিটা। কিন্তু এবার প্রকৃতি নতুন নিয়মে খেলছে খেলা, আষাঢ়ের ঢলের জলেও, এখনো ছুঁতে পারেনি একাধিক হাওরের তলা।
আজ (১৬জুন) সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ছোট, বড় একাধিক হাওরে, গবাদিপশু গরু, মহিষী, ছাগল, ভেড়ার বিচরণ, কাঁচা গ্রাস খেতে, অবাধে মাঠে চড়ে
ভেড়াছে, মৎস্য জীবী জীবীকার আহরণে হাতে জাল,ছাইঁ, গুই নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে হাওরের বিলে। অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানি, এখনো ডুকতে পারেনি পালই, বনোয়া,খইনা, ভাই মারা, লোচনি, গুরমা সহ আরও অনেক হাওরে। সবুজের সমারোহে আতসবাজি তরুলতায় বাজিয়ে চলছে ।
দেখলে মনে হয়, শুকনো মৌসুম চলমান আজও রয়েছে ।
নেমে আসা উজানের ঢল আর অতিবৃষ্টির জলে, পাটলাই, যাদুকাটা, কেন্দুয়া নদীসহ ছোট, বড় সব কয়টি নদী খানায় খানায় পরিপূর্ণ হয়ে, নদীর তীর বেয়ে উপচে পড়ছে পানি। এতে মাটিয়ান, সংসার, বোয়ালদা,শনির,টাংগুয়ারসহ পাশ্ববর্তী নোয়াল, গন্ন্যাকুড়ি হাওরগুলো আধাতল জল হয়ে, স্থল পথ বিছিন্ন করে রেখেছে জোয়ারের জল। তবে এ -দ্বারা চলমান থাকলে, সবকয়টি হাওর, বাওর নদী, নালা, আজকালের মধ্যে তলিয়ে যাবে।অন্যদিকে স্থানীয় লোকজনের মনে কিছু টা ভয়ও কাজ করছে, বিগত বছরের ভয়াবহ বন্যার কথা স্মরণ হলেই, কিছু মানুষ আতংকিত হয়ে যাচ্ছেন ।
উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নূর আখঞ্জী জানান, এত লম্বা শুকনো মৌসুম
আমার জীবনে দেখিনি। আষাঢ়ের ২ তারিখে ও, আমাদের হাওরে ঢলের পানি এখনো ডুকেনি। এর অবদান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের, তিনি সঠিক বরাদ্দ দিয়েছেন বলেই,, আফড়সহ জাঙ্গালের বাঁধ নির্মাণ কাজ ভাল হয়েছে। তিনি যে কৃষক বান্ধব সরকার এটাই তার প্রমাণ। দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করেন তিনি, বাস্তবতা প্রমাণ। না হয়, কত আগে আফর গড়িয়ে জাঙ্গাল ভেঙে পানি প্রবেশ করতো হাওরে, নদীতে যে পানি খানায় খানায় পরিপূর্ণ রয়েছে। আমি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নিকট আর-ও একটি আর্জি জানাতে চাই, পালই-বনোয়ার হাওরে, পানি প্রবেশ করানো ও নিষ্কাশনের ব্যবস্তা করে দিন। একটি সুইস গেইট নির্মাণ হলে, সরকারি রাজস্ব বাঁচবে, অন্যদিকে স্থানীয় কৃষক গণও
উপকৃত হবে। সৃষ্টি হবে না আর জলাবদ্ধতা। এতে উভয় পক্ষ স্বাবলম্বী হয়ে, দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে অর্থ নৈতিকের চাকা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করা হয়েছে।