আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর -২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেছেন,বিভিন্ন জায়গায় শুনছি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সন্ডারা বলে বেড়াচ্ছে ভোট কেটে নিয়ে যাবে, আমি বলতে চাই ভোট কাটা তো দূরের কথা কেউ যদি ভোট কাটার কথা চিন্তাও করে তার আর রক্ষা নাই।
তিনি আরো বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি কাউকে ভয় পাই না। সালথা নগরকান্দায় এমন কোন মায়ের পুত নেই যে আমার ভোটের গাঁয়ে হাত দেয়। এই এলাকায় আমার নাড়ী পুতা রয়েছে, এই এলাকার মানুষের সাথে আমার উঠাবসা ছোট বেলা থেকে। কেউ আমার ভাই, কেউ চাচা, কেউ বন্ধু কেউ ছোট বেলার খেলার সাথী। আমি কেন ওই চাটগাঁইয়ে কে ভয় পাবো।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লার বাড়িতে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সালথায় গত ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল যে তান্ডবের ঘটনা ঘটেছিলো সেখান অপরাধী হিসাবে দুটি বছর নিরপরাধ লোকগুলি বাড়ি ছাড়া, ঘর ছাড়া ছিলো। যে অপরাধ করেছে সে অপরাধী কিন্তু অপরাধ না করেও অনেকে পরিবার পরিজন ছাড়া বনজঙ্গলে,দেশে বিদেশে এতিমের মতো খেয়ে না খেয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। এই জনসাধারণের দায়িত্ব কি সংসদ সদস্য (লাবু চৌধুরীর) ছিলো না। তিনি এই অসহায় মানুষ গুলোর কথা একবারের জন্যও ভাবেননি। কেন তিনি জনগনের পক্ষে কথা বলেননি। এজন্য তাকে জনগণের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে। আপনারা আগামী ৭ তারিখ ঈগল পাখি মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। যদি আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে পারেন আপনাদের এই মামলা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পায়ে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে গিয়ে যেভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এই সব মামলা প্রত্যাহার করে দিব ইনশাআল্লাহ। আর দায়িত্বে থাকা সংসদ সদস্য (লাবু চৌধুরী) কে ৭ তারিখের পর জনতার আদালতে এনে বিচার করা হবে। উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান মোল্লা,সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী ছাব্বির আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্লা, রামকান্তুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা কাউছার ডাক্তার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার আবুল কালাম আজাদ জৈষ্ঠ পুত্র খন্দকার সুমনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন হাজারো নেতৃবৃন্দ।