নবিউল ইসলাম, ফুলবাড়ী,(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চাম্পা বেগম একটি হুইল চেয়ারে জন্য আবেগ জনিত কন্ঠে বলেন আমাক হুইল চেয়ার দিববেন বাহে। আমি খুবই অসহায় হাটতে-চলতে পারিনা। প্যারালাইসিস রোগে তিন-চার বছর যাবত বিছানাত পরি আছং হাটা চলা করিবার পাংনা। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় চাম্পা বেগম বিছানায় শুয়ে কন্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বললেন। প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার সদর চন্দ্রখানা মুছল্লিপাড়া গ্রামের ওবাইদুল ইসলামের স্ত্রী চাম্পা বেগম (৪০)। প্রায় দুই-তিন বছর যাবত প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত। তার দুই পা কোমর পর্যন্ত অবস হয়ে যায়। সেই থেকে বিছানায় পড়ে আছেন। ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে ওবাইদুল হক দিন মজুরি কাজ করে কোন রকম ভাবে দিনাতিপাত করেন। চাম্পা বেগম আবেক জরিত কণ্ঠে বলেন ছেলে মেয়ের বিয়ে হওয়ায় কেউ দেখা শুনা না করলেও আমার স্বামী সবসময় আমার গোসল করা সেবা যত্ন করেন। বিছানায় শুয়ে মাঝে মধ্যে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতে হয়। ঔষধ কেনার সমার্থ নাই। স্বামী ওবাইদুল হক স্ত্রীর চিকিৎসার পেছনে সব কিছুই বিক্রি করে এখন সর্বস্বান্ত হয়েছে। নিজস্ব জমা-জমি না থাকায় দিনমজুরের কাজ করে যে অর্থ পান তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালান। ওবাইদুল হক বলেন, একটি হুইল চেয়ারের জন্য অনেক দিন আগে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করেছি এখনও পর্যন্ত পাইনি। আমার স্ত্রী চিকিৎসার পেছনে অনেক টাকা আয় খরচ করেছি। এখন যা আয় করি তা দিয়ে চেয়ার কেনার সামর্থ্য নাই, খুবই অভাবে কাটছে আমার পরিবার হুইল চেয়ার কিনবো কিভাবে? চাম্পা বেগম বলেন, আমাকে যদি কেউ একটা হুইল চেয়ার দিতো তাহলে বাহিরের আলো বাতাস একটু দেখতাম । তাই সমাজের দানশীল বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান যদি একটি হুইল চেয়ার প্রদান করতো তাহলে চির কৃতজ্ঞ থাকতাম। নবিউল ইসলাম ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম