কবিতাঃ নির্বাচন
কলমেঃ পলাশ কুমার
আহা কিরূপ অদ্ভুত সুন্দর !
আলোর মেলা সারি সারি _
নানান রঙ্গে সু-সজ্জিত ,
নব-নিত্য প্রতীকে কান্ডারী ।
কখনো বা সোরগোল দেখো ,
বেঁধেছে জন-মানবের জটলা _
ভাই/আপা বলে পদ_প্রার্থীকে ,
দিয়ে যায় মুখোরিত সংবর্ধনা ।
হাত উঠিয়ে দিচ্ছে নারা ,
নেইকো বিভেদ কারো সনে _
নেতা সবার হিত সাধনে ,
ভালবাসার অঙ্গীকার নিয়ে ।
গণসংযোগ হয় সকলের তরে ,
সবার দোয়া ভালবাসা চেয়ে _
অপরিচিত জন ও পরিচিত হয় ,
কেউবা দূর সম্পর্ক আত্মীয়তাতে ।
উন্নয়নের জোয়ার বইবে এবার ,
আপনাদের মহামূল্যবান ভোটে _
কথা দিয়ে মন কেড়ে যায় ,
সকল জনগণকে পক্ষে নিতে ।
মুখরোচক খাবারে মুগ্ধতা ছড়ায় ,
ক্ষণিকের আবেশে আবদ্ধ হয়ে _
প্রার্থী গেলে আবার প্রার্থী আসে ,
মানুষের ধরনও যায় বদলে ।
কেউবা করে আপন আপনা ,
ভবিষ্যৎ এর ফায়দা উঠাতে _
কেউবা দেখায় অনেক ভোটার ,
অর্থ আত্মসাৎ এর নিমিত্তে ।
কভুও তো আসেনা মনে ,
এতো আয়োজন কিসের তরে _
কোথা হতে আসে অর্থের যোগান ,
কেনইবা দেয় সে অর্থ ঢেলে !
গুটি কয়েক পরগাছা সমাজে ,
অন্যের রসে সজীবতায় পায় _
আংগুল দেখাতে পারেনা সকল ,
এরা পৈশাচিকতায় আনন্দ নেয়।
এদের তরেই ভালবাসা বেশি ,
ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করতে _
কেউ বুঝে না এমন পরিকল্পনা ,
কি আছে ঐ মনের মাঝে ।
হয়নি দেখা কাছে এসে ,
গরিব দুঃখী কে রয়েছে _
দু-বেলা দু-মুঠো ভাত ,
পেট পুরে খাবার আঁশে ।
নির্বাচিত নেতা সবার পাশে _
নয়তো কারো একার সনে ,
তবুও রয়েছে পক্ষপাতী !
বিপদে সম্মুখ কথা বলে ।
কিসের তরে করিলাম কি !
কেবা রেখেছে তার প্রতিশ্রুতি ,
আংশিক যদিও প্রাপ্তি রয় ,
সময়ের প্রয়োজনে ছলচাতুরী ।
কে বা আপন কে যে পর !
বহুরূপী মানুষ চেনা বড় দায় _
তেল মারতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ,
নির্বাচন এলেই প্রকাশ পায় ।
বিজয়ের ডঙ্কায় দূরীভূত সকল ,
নির্বাচিত নেতার মুগ্ধতা ছড়ায় _
কথা দেয়া কথাই রইলো ,
বাস্তবতার নিরিক্ষে শূন্যতায় ।
মিথ্যা আশায় ঘর বাঁধি ,
সময়ের চাওয়ায় ভালোবাসা ,
বাকি সব নিরব ব্যথা _
মনে জন্মায় বিষাদ ঘৃণা ।