শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক।
কালিগঞ্জের শ্রীধরকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট -২৪) বেলা ১১ টায় স্কুলের হলরুমে এলাকাবাসী, গনমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক মন্ডলী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগনের উপস্থিতিতে তদন্তকালে শুনানী করেন আশাশুনী উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সেলিম।
এসময়ে তার সহায়তা করেণ কালিগঞ্জ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ,কে,এম মোস্তাফিজুর রহমান। তবে অভিযোগকারী ধুরন্ধর মামলাবাজ শ্রীধরকাটি গ্রামের মৃত শেখ রহমাতুল্লাহ অরফে নেফু শেখের ছেলে শেখ সিদ্দিকুর রহমান ছিলেন অনুপস্থিত। জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধরকাটি গ্রামের শেখ হাজির উদ্দীন আহমেদ ও সহোদর শেখ আমিন উদ্দীন আহমেদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির নিমিত্তে ৪০ শতক জমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ইং ১২-১২-১৯৯০ তারিখ নিরুপনপত্র দলিল মুলে রেজিস্ট্রি করে দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালে ভবন নির্মানের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের বিপরীতে তৎকালীন সময় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিনে বিদ্যালয়ের জায়গা পরিদর্শন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের নামে নিরুপনপত্র করে দেওয়া ৪০ শতক জমি সংকুচিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে ঐ জায়গায় ভবন নির্মান সম্ভব হয়নি। সে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা পরিবর্তন করে একই মৌজার অন্য প্লটের ৫৩ শতক জমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেজিষ্ট্রি করে দেয়।
জমি দাতারা হলেনঃ কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীধরকাটি গ্রামের প্রয়াত শেখ গরীব উল্লাহ’র ছেলে শেখ হাজির উদ্দীন আহমেদ ২০ শতক, যাহার খতিয়ান নং ১২২ দাগ নং ৩২৭, হাজির উদ্দীন এর তিন ছেলে শেখ আলাউদ্দিন আহমেদ ১১ শতক, শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ ১১ শতক এবং শেখ আক্তার উদ্দীন আহমেদ ১১ শতক যাহার খতিয়ান নং ১৯৪, দাগ নং ৩২৮। দুই খতিয়ান মিলে মোট ৫৩ শতক জমি। উল্লেখিত ৪০ শতক জমি নিরুপনপত্র দলিলে উল্লেখ থাকে যে, যদি কোন কারণে ভবিষ্যতে উক্ত বিদ্যালয় স্থানান্তরিত হয় বা বিদ্যালয় উঠিয়া যায় তাহা হইলে নিরুপনপত্রে বর্ণিত তপশীল সম্পত্তি জমি দাতাদের নিকট ফিরিয়া আসিবে এবং তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি ধার্য্য করাদি তারাই বহন করিবে।
তপশীল সম্পত্তি যাহার সাবেক দাগ ১৬০ ও হাল দাগ ২৩০ এর ০২ নং খতিয়ান মুলে ১.০০ একর জমির মধ্যে ওয়ারেশ সুত্রে শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ অন্যাত্রে ২৪ শতক জমি বিক্রয় করেন। কালিগঞ্জ শ্রীধরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও জমি দাতা শেখ আলাউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমার ভাই জমি বিক্রি করায় একটি কুচক্রী মহল আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নামে নিরুপনপত্র করে দেওয়া জমি কোটি টাকায় বিক্রি করেছে মর্মে বিভিন্ন সাংবাদিক মহলসহ এলাকায় সম্মানহানির নিমিত্তে গুজব ছড়াচ্ছে যা আদোও সত্য নয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা যথাযথ ভাবে তদন্ত করে শ্রীধরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তি কোটি টাকা মুল্যে বিক্রি করার ব্যাপারে কোন প্রকার সত্যতা পাওয়া যায়নি। উপরন্তু অভিযোগকারীর থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে থাকলে একপর্যায়ে চৌকস তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত সম্পন্ন করেন।