নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবাদ সংগ্রহ কালে জানা যায় কালিগঞ্জ উপজেলার থানা সংলগ্নে একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন প্রতারক চক্র প্রত্যয় সমিতির পরিচালক রফিকুল ইসলাম উক্ত প্রতিষ্ঠান শাখা প্রশাখা খুলিয়া গ্রামের সহজ সরল অসহায় গরিব নিপীড়িত মানুষের লোন প্রদান করিবার দেখিয়ে প্রত্যেক মানুষের কাজ থেকে দুই টা করে চেক নিয়েছেন বলে জানা গেছে এবং সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে নন জুটিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্প নিয়া মানুষের বিভিন্ন প্রকারভাবে তালবাহানা করিয়া অল্প কিছু টাকা ঋণ প্রদান ও গ্রাহকের একটি পাস বই দিয়ে দেয়।
এবং প্রত্যেক ইউনিয়নের একটি করে শাখা অফিস খুলে প্রতারণার মরণ ফাঁদ পেতে রেখেছে প্রতারক রফিকুল কৃষ্ণনগর,বিষ্ণুপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, কুশুলিয়া ইউনিয়ন, মথুরেশপুর ইউনিয়ন, রতনপুর,ধলবাড়িয়া,মৌতলাসহ ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটা গ্রামে মহল্লায় প্রত্যয় নামে সমিতি খুলে এলাকার সাধারণ মানুষের সর্বনাশের মরণ ফাঁদ তৈরি করছে, আরো জানা গেছে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদের পিতা মোঃ ইলাই বক্স কাছ থেকে বিনিময় সমিতির পরিচালক রফিকুল ইসলাম কৌশলে আব্দুল কাদের নিকট হইতে দুটি চেক গ্রহণ করে।
তাকে ঋণ প্রদান করেন ঋণ নেয়ার পরে প্রতি মাসিকও সপ্তাহে আব্দুল কাদের উক্ত ঋণ পরিশোধ করা কালীন সময়ে কোন কোন কারন ছাড়াই বান ঋণের মেয়াদ শেষ না হইতে প্রত্যয় সমিতির পরিচালক রফিকুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ভাষায় গালি গালাজ শুরু করেন,বিভিন্ন কথাবার্তার ও মিথ্যা অপচর শুরু করে তখনই ঋণ গ্রহীতা দিয়া দুটি চেকের ভিতরে একটি চেক রফিকুল ইসলাম কৌশল করিয়া ও নিজের স্বার্থ হাসিল করিবার জন্য ইংরেজি ০৮/০৯/২০২২ তারিখ চেকটি ইসলামী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার সাতক্ষীরা হইতে ডিজাইনার করিয়া গ্রহীত নামে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ২নং আদালতে সাতক্ষীরা একটি মামলা দায়ের করে,মামলা (সি আর ৭৯৪/২২) দায়ের করে বাদী কৌশলে প্রত্যয় সমিতির নাম না উল্লেখ করিয়া উক্ত চেকটি ব্যবসায়িক খাতে প্রবাহিত করিয়া ১৫ লাখ টাকার জমি বিক্রয় সংক্রান্তে একটি মামলা করেন তাছাড়া বিভিন্ন প্রত্যয় সমিতির গ্রাহকদের নামে এভাবেই চেক নিয়ে সমিতির টাকা দিতে একটু সাপ্তাহিক কিস্তি বিলম্ব হলে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এ বিষয়ে প্রত্যয় সমিতির পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান মামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান।
সমিতির ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম ও মাঠকর্মী নাজমুল ইসলাম বলেন আব্দুল কাদের এর সাথে সমিতির ঋণের বিষয় টাকা পয়সার লেনদেন আছে তাছাড়া আমরা অন্য কিছু জানিনা এমনও বলেন জমি জায়গার কোনো কাগজপত্র আমরা দেখি নাই বা আমাদের সামনে কোন টাকা পয়সা কোন চেক কোন নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প লেনদেন হয়। প্রত্যয় সমিতির নিকট চাকরি করি যার কারণে পরিচালকের রফিকুল ইসলামের চাপে মামলায় সাক্ষী হতে বাধ্য হয়েছি ও মাঠকর্মী নাজমুল আরো জানাই যে আব্দুল কাদের সমিতির টাকা টা ঋণ পরিশোধ করিলে বিষয়টা মীমাংসা হয়ে যাবে।
সমিতির রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে কালিগঞ্জ উপজেলা সমাজসেব অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ কালে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় সমিতির বিষয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টা সাধারণ জনসাধারণের মনে প্রশ্ন তারাই যে এতগুলো ইউনিয়ন ও বিনা রেজিস্ট্রেশনে সমিতি বসিয়ে ঋণ দিয়ে মানুষকে মরন ফাঁদ সৃষ্টি করেছে সমিতির পরিচালক রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও মাননীয় পুলিশ সুপার হস্তক্ষেপ কামনা করছে।