বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই,দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই:এ্যাডঃ এ,বি,এম,সেলিম সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন  মধ্যনগরে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা বোয়ালখালীতে গরু চুরি প্রতিরোধে খামারিদের সভা  ব্যাটারিচালিত রিকশা নিবন্ধনে বছরে রাজস্ব আসবে ৫ হাজার কোটি টাকা-যাত্রী কল্যান সমিতি  বাঘায় আনিসুর রহমানের খুনি গেপ্তার তাহিরপুরে ক্রিকেট খেলা উদ্বোধন করলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুনাব আলী সাতক্ষীরায় শিশুসহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু  রংপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল 

কালিগঞ্জে প্রধান শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে শিক্ষা অফিসার

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ২০৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ বহুল আলোচিত উপজেলার উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই বিদ্যালয়ে ১৮ বছর চাকুরি করা প্রধান শিক্ষক পরিমল ঘোষের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করেছেন সহকারি শিক্ষা অফিসার ওমর ফারুক ও মাসুম বিল্লাহ। সোমবার (২৫-মার্চ) সকাল ১১ টার সময় উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবক সদস্যদের উপস্থিতিতে এ তদন্ত করেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা শিক্ষা অফিসার শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের শুনানি করেন। স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, আনজুআরা খাতুন, রানু খাতুন, মনিরুজামান, নির্মল অধিকারী, মঞ্জুয়ারা, রুহুল কুদ্দুস, দিলীপ ঘোষ, রাবেয়া খাতুন, রহিমা খাতুন, অমর বিশ্বাস সহ একাধিক অভিভাবক সদস্যর থেকে ঐ শিক্ষকের নানা বিধ দুর্নীতির অনিয়মের লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ গ্রহণ করেন।

এ সময় জনসম্মুখে অভিভাবক সদস্যরা বলেন, স্কুলে তাদের ছেলে-মেয়েদের থেকে বিভিন্ন সময় চারুকলার কথা বলে অভিভাবকদের থেকে আপেল-আঙ্গুর, বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০/১০০ টাকা করে নিয়েছেন। কেন নিয়েছেন কি জন্য নিয়েছেন এর কোন সদুত্তর উত্তর মিলেনি আজও পর্যন্ত। এছাড়াও শিক্ষা দিতেই সাথে দুর্ব্যবহার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের আইডি কার্ড এবং ইউনিফর্মের ব্যাচ তৈরি করে দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎতের গুরুতর অভিযোগ। এমনকি এক অভিভাবক সদস্য জনসম্মুখে অভিযোগ করেন, তার ছেলে রাস্তাঘাট ভালোভাবে চেনে না সে প্রতিদিন তাকে স্কুলে দিয়ে যাই যাওয়ার সময় নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার ছেলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে হাজির হয়ে বলে আব্বা ১০০ টাকা দাও না হলে স্যার আমাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না। আমার ছেলে ভালো করে রাস্তাঘাট চেনেনা তাকে এইভাবে টাকার জন্য আমার কাছে পাঠিয়েছে যদি রাস্তায় কোন ধরনের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো এর দায় কে নিত। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় আমি ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি কে জানিয়েছিলাম কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।এর আগেও ২০১৭ সালে ঐ শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে ওই সময়কার নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য সাজেদুর রহমান ঠিকমতো স্কুলে শিক্ষাকতা করতেন না ও এস এম সি কমিটির মিটিংয়ের রেজুলেশনের কপির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ করেছিলেন।কিন্তু সেই অভিযোগের তদন্ত হয়েছিল কিন্তু আজও পর্যন্ত ঐ তদন্তের হদিস পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে তদন্তকারী সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্দেশে তদন্ত করতে এসেছি। স্কুলের অভিভাবক সদস্যদের থেকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ গ্রহণ করেছি। লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গ্রহণ করবেন।প্রসঙ্গত, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা সহ নানা বিধ দুর্নীতির অভিযোগের রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিদ্যালয় এর সামনে নির্মিত ৫/৬ টি পাঁকা দোকান ভাড়া দিয়ে দোকান ২ দুই হাজার টাকা করে দীর্ঘ ১৫ বছরে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করলেও ম্যানেজিং কমিটির কেউ জানে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর বাড়ির পাশে চাকরি করা এবং খুঁটির জোর নিয়ে জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে হয় নানা সমালোচনা।

উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের অজিত ঘোষ এর পুত্র পরিমল ঘোষের বিরুদ্ধে নানান অপকর্ম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতির অভিযোগ একাধিকবার উঠলেও একই প্রতিষ্ঠানে ১৮ বছর চাকরি করা নিয়ে উপজেলার চায়ের দোকানগুলোতে মুখরোচক আলোচনা, সমালোচনার ঝড়ে বিষয়টি নিয়ে টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়। বিদ্যালয়টি পৈতৃক ভিটা বানিয়ে জেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার করে দুর্নীতি তোকমা লাগিয়ে বহাল বুকফুলিয়ে চাকরি করে যাচ্ছে । এলাকার অভিভাবক এবং এলাকাবাসী স্কুলে গেলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে তাড়িয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানান। এরই পরিপেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এলাকার অভিভাবক ও এলাকাবাসী তার অপসরণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।