ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন থেকে গত বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার সময়ে অন্যায় ও যড়যন্ত্র মুলক ভাবে ভিপি নুরের যুব অধিকার পরিষদের কৃষ্ণনগর কার্যালয় থেকে তিন নেতা বিল্লাল গাজী, শহিদুল গাজী ও হাফিজুল গাজীকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে যুব অধিকার পরিষদের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন একাধিক নেতৃবৃন্দ বলেন গত বৃহস্পতিবার আমরা ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দ আমাদের কার্যালয়ে বসে জরুরী আলোচনা ও মতবিনিময়সভা করছিলাম হঠাৎ কালিগঞ্জ থানার চার জন পুলিশ পরিদর্শক সহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল সদস্যরা আমাদের অফিসে আসেন ,আমরা তাদের আপ্যায়ন এবং সৌজন্যে আনুষঙ্গিক আলাপ-আলোচনা করে। কিছুক্ষণ পর আমাদের অফিস থেকে কিছু দূরে রুহুল আমিন গাজীর চায়ের দোকানের নিচ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ কিছু দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করে।তারপর পুলিশ আমাদের তিন নেতাকে বলেন এ অস্ত্র তোমাদের গণ অধিকার পরিষদ নেতৃবৃন্দদের।অথচ আমাদের নেতারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। তখন পুলিশ আমাদের তিন নেতা বিল্লাল গাজী, শহিদুল গাজী,ও হাফিজুল কে গ্রেফতার করে।যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেত্রী, আওয়ামী লীগের দোসর যে প্রকাশ্যে সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলনের নীর্বাচনী প্রচারণা করেছে ভোট চোর শাফিয়া আমাদের সঃগঠনের অফিসের উপর হিংসা করে আসছিল।সাফিয়া পারভীন তার লোকজনদের কে দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে যড়যন্ত্র মুলক অস্ত্র রেখে যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য আমাদের নেতৃবৃন্দ কে গ্রেফতার করিয়েছেন মর্মে দাবি করেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের যুব অধিকার পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
তারা আরো বলেন,আওয়ামী লীগের দোসর সাফিয়ার বিগত আওয়ামী লীগের সময়ের জোর পূর্বক কৃষ্ণনগর বাজারের চাউল পট্টি দখল সহ নানান অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার চাই। যেগুলো সেই সময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল।আমাদের নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি মুলক গ্রেফতার করে সাংগঠনিক কার্যক্রম দুর্বল করার এ পরিকল্পনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।আমরা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি নুরুল ইসলাম নুর স্যারকে এ বিষয়ে অবহিত করার চেষ্টা করছি। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা নেতৃবৃন্দ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন । মিথ্যা অভিযোগে তিন নেতা গ্রেফতার হওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্য ও এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের সাথে সত্যতা জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।