মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী জহির ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বহিরাগতদের হামলায় সেক্রেটারী কাইয়ুম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহত কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগরে যুব অধীকার পরিষদের তিন নেতা গ্রেফতার,ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নেতাদের  গর্জিয়াস গ্রুপের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মুন্সিগঞ্জে স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ছাত্রসমাজের উদ্দেশে দেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতির সম্পূর্ণ বক্তব্য মুন্সীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টঙ্গীবাড়ি উপজেলা শাখার শুরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত । শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছক ফাঁস অ্যামেরিকার সংবাদ মাধ্যমেই বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’র সিইও সুজিত চক্রবর্তী কর্তৃক হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ‘মানববন্ধন’ কালিগঞ্জে রাস্তা নির্মানের ছয় মাসে নষ্ট,ছয়কোটি টাকার কাজ প্রশ্নবিদ্ধ জনগণকে সেবা দিতে সরকারি কর্মচারিদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান -মন্ত্রিপরিষদ সচিবের

কালীগঞ্জে জামায়াত নেতা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ 

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৭২৫ বার পঠিত

হাফিজুর রহমান,কালীগঞ্জ থেকে:

খাবারের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ফুটবল খেলা দেখাতে নিয়ে একাধিক সহিংস মামলার আসামি জামায়াত নেতা লম্পট রুহুল আমিন মোড়লের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণীর১ ছাত্রকে আম বাগানে নিয়ে উপর্যপুরি বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলাৎকার ও পাশবিক নির্যাতন শেষে শিশুটি ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়লে হত্যার ভয় দেখিয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারুলগাছা ফুটবল ময়দানে রবিবার (৩১ অক্টোবর) ৪ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাঠের পূর্ব পাশের আম বাগানে ফেলে এই বলাৎকারের ঘটনা ঘটে।

বলাৎকারের শিকার রাকিবুল হাসান মুকুন্দ মধুসূদনপুর চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র এবং মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শেখ আব্দুস সাত্তারের পুত্র। একাধিক বলাৎকারক জামায়াত নেতা লম্পট রুহুল আমিন মোড়ল( ৫৬) মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের মৃত কেতাব আলী মোড়লের পুত্র।

এর আগেও সে একাধিক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের জানায় রবিবার বিকালে পারুল গাছা মাঠে ফুটবল খেলা ছিল।

স্কুল থেকে বিকালে বাড়ি ফেরার পথে রুহুল আমিন চাচা আমাকে ফুটবল খেলা দেখাতে নিয়ে যাবে বলে অনেকগুলো খাবার কিনে দেয়। এবং বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেয়ে স্কুল ব্যাগ রেখে স্কুল ড্রেসে চেঞ্জ করে চলে এসো। আমি বাড়ি থেকে আসলে আমাকে তার মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পারুলগাছা ফুটবল মাঠে নিয়ে লোকের ভিড় দেখে আমাকে একটি গাছে উঠিয়ে দেয়।

খেলা শেষ হওয়ার পরে সন্ধ্যার সময় মাঠের পূর্ব পাশে আম বাগানে নিয়ে মুখ চেপে ধরে প্যান্ট খুলে আমাকে খারাপ কাজ করে। ওই সময় আমি যন্ত্রণায় ছটফট করলে সে আমাকে মুখ চেপে ধরে কাউকে কিছু না বলার জন্য হত্যার ভয় দেখিয়ে তার মোটরসাইকেলে নিয়ে রাতে আমার বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। বাড়ি যেতে রাত হওয়ায় আমার মা (ফাতেমা খাতুন) আমাকে কোথায় গিয়েছিলাম জিজ্ঞাসা করলে আমি প্রথমে ভয়ে এবং যন্ত্রণায় কিছু বলিনি পরবর্তীতে আমার এক সহপাঠীর নিকট হতে মা জানতে পেরে আমাকে ধমক দিলে আমি সমস্ত ঘটনা মাকে খুলে বলি। এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা ফাতেমা খাতুন সাংবাদিকদের জানায় স্কুল হতে বাড়ি এসে কাউকে কিছু না বলে দ্রুত বাড়ি হতে বেরিয়ে যায়। পরে অনেক রাত হওয়ায় খোঁজাখুঁজির পর্যায়ে তার সহপাঠ শিহাব জানায় রুহুল আমিন চাচার সঙ্গে খেলা দেখতে গেছে।

তখন বিষয়টি সন্দেহ হয় তার মুখ থেকে ঘটনা শুনে ওই রাতেই আমরা চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাই। চেয়ারম্যান বাড়িতে না থাকায় আমরা ফেরত আসি। সকালে চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তিনি বিষয়টি তার ভাই একাধিক সহিংস মামলার আসামি নূর মোহাম্মদ কে সন্ধ্যার মধ্যে মীমাংসা করে দিতে বলেন। ওই সময় আমরা নূর মোহাম্মদের নিকট বিচার পাবনা বলে চলে আসি। এরপর হতে রুহুল আমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে বাড়ি পাহারা দিয়ে রেখেছে যাতে করে আমরা থানায় না যেতে পারি। এ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি তার ভাই নুর মোহাম্মদকে বিষয়টি দেখতে বলেছি না হলে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। অভিযুক্ত বলাৎকারক লম্পট রুহুল আমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে এবং ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের নিকট অনুরোধ জানান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। ২০১৩ সালে বাড়িঘর, দোকানপাট পেট্রোল দিয়ে জালানো সহ একাধিক সহিংস মামলার আসামি এই লম্পট রুহুল আমিন। এছাড়াও তার পুত্র জমায়েত নেতা নেতা মাওলানা আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম উদ্দিন কে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যা করে। যে কারণে তাকে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ক্রসফায়ারে গুলিবিদ্ধ হয়। এলাকাবাসী লম্পট রুহুল আমিনকে গ্রেফতারের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ এবং জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

One thought on "কালীগঞ্জে জামায়াত নেতা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ "

  1. হুমায়ুন কবির says:

    যে সমস্ত মুখোশধারী শয়তান দের উপযুক্ত সাজা হওয়া উচিত তা না হলে সমাজে আরো অনেক অসহায়কৃত মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে

Comments are closed.

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।