নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গরু চুরির ৮০ হাজার টাকার ভাগ দেননি মিজানুর শেখ। প্রতিশোধ নিতে তার সাড়ে ৬ বছরের শিশু সন্তানকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয়। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চাপতা গ্রামের মিজানুর শেখের সাড়ে ৬ বছরের মেয়ে সুমা হত্যার তদন্তে এ তথ্য পেয়েছে বলে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, শিশু সুমার বাবা মিজানুরের সঙ্গে একই এলাকার আজিজ মোল্লা, সামাদ শেখ, হাসিব শেখ, নূর মোহাম্মদ ও দুলুসহ কয়েকজন গরু চুরি করতেন। চুরি করা গরু বিক্রির ৮০ হাজার টাকার ভাগ সহযোগীদের দেননি মিজানুর। এ কারণে বাকিরা ক্ষুব্ধ হন। মিজানুরকে ‘শিক্ষা’ দিতে তার মেয়ে সুমাকে খুন করার পরিকল্পনা করে তারা। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে দুজনকে ভাড়ায় নেন তারা।
এ মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম জানান, এ খুনের ঘটনায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা এখনো সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত শেষ করে শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটা থেকে গলা ও হাত পায়ের রগ কাটা অবস্থায় শিশু সুমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত সুমা ২২নং চাপতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম জানান, এ খুনের ঘটনায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা এখনো সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত শেষ করে শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটা থেকে গলা ও হাত পায়ের রগ কাটা অবস্থায় শিশু সুমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত সুমা ২২নং চাপতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।