মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের বালিগাঁওয়ে ডাকাতির ঘটনায় ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। এঘটনায় জড়িত থাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে আটককৃত ডাকাত দলের স্বীকারোক্তিমূ্ল তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতের সময় ব্যবহৃিত সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। তিনি আরো জানান, চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতি মামলার গ্রেফতাকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে লুণ্ঠিত নগদ ১০,০০০/- টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃিত ১ টি তালা কাটার যন্ত্র, ২ টি শাবল, ২ টি লোহার রড ও ১ টি স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ডাকাতির সাথে জড়িত মোঃ শফিকুল ইসলাম,(২৭),মোঃ ফরিদ হাওলাদার (৪৫), মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪২), আব্দুর সোবহান ঢালী (৩২), কামাল খান (৪১), মোঃ দেলোয়ার খলিফা (৩৭), মোঃ ফারুক খা (২১), মোঃ কালু হাওলাদার (৩৮), হিরন তালুকদার (৪৩) এবং মিলন খলিফাদেরকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাহীন শেখ (২২), সিরাজুল মাদবর (২৮), মোঃ ইমরান মাদবর (২৬), সবুজ খা (৩০) এবং মোঃ শাহীন শিকদারদেরকে (৩২) গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্য থেকে ০৮ জন মাদারীপুরের, ০৬ জন শরিয়তপুরের এবং ০১ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানান তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমুন দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম মোঃ আদিবুল ইসলাম,ইয়াসিনা ফেরদৌস,সদর সার্কেল থান্দার খায়রুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ,টঙ্গিবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান প্রমুখ।