রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত থানার পাতিরা এলাকা থেকে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলের বহুল আলোচিত কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের মূল হোতা ফাহিম হাসান দিহানকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকা খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরা এলাকা হতে ধর্ষণ মামলার মূল হোতা মো. ফাহিম হাসান দিহানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল। গ্রেপ্তারকৃত আসামি জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত দলবদ্ধ ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পূর্বাচলের ময়েজ উদ্দিন চত্ত্বরে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। ওই রাতে ভিকটিমকে তার চাচাত ভাই সাব্বির (১৯) কনসার্টে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ভিকটিম তার চাচাত ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে কনসার্টে যায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উক্ত ভিকটিমসহ সাব্বির কনসার্টে হাজির হয়। কনসার্ট চলাকালীন সাব্বির ও আনাস কাজী তাদের সহযোগীদের সাথে পরামর্শ করে কিশোরীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক কনসার্ট শেষ হলে রাত ১২.৪০ মিনিটে আসামি দিহান তার প্রাইভেটকার নিয়ে আসে। কারে দিহান, শাকিল, জাহিদ ওরফে শুভ, সালমান এবং আরাফাত অবস্থান করে। সাব্বির একটি মোটরসাইকেলে ভিকটিমকে কনসার্ট এলাকা থেকে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামি দিহান তার প্রাইভেটকারে শাকিল, জাহিদ, সালমান ও আরাফাতকে নিয়ে সাব্বিরের মোটরসাইকেলের নিকট নিকট হাজির হয়।
সেখানে তারা ৭ জন পরামর্শ করে এবং ভিকটিমকে প্রাইভেটকারের পেছনে বসায়। অল্প কিছুক্ষণ আসামি সাব্বির ও আনাস কাজী ভিকটিমের সাথে কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক কিশোরীর পরিধেয় বস্ত্র খুলে ফেলে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসামীরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত অনুমান ২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ভিকটিমের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। অপরাধীরা তাদের পশুবৃত্তি চরিতার্থ করে বিধ্বস্ত ভিকটিমকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম বাদী হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় মামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ বর্ণিত দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করে।