নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ার খোকসা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট আছে কিন্তু টেনের সিট খালি নেই এমনটাই প্রথমে বলবে খোকসা রেলওয়ে কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কিন্তু নির্ধারিত বা বা সরকার অনুমোদিত ভাড়া থেকে দ্বিগুন বা অধিক টাকা দিলে ট্রেনের সিট মিলবে সাথে সাথে তাও আবার সঠিক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট এবং আসন। কিন্তু সবার মনে একটি প্রশ্ন এই বিষয়ের মুখোমুখি হবার পরে সেটি হলো যদি ট্রেনের সিট আগে থেকেই শেষ হয়ে যায় তাহলে নির্ধারিত মূল্যের থেকে অধিক টাকা দেওয়ার পরে যে টিকিটটি দেওয়া হয় সেটি কি কালোবাজারি টিকিট নাকি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক টিকিট? যদি টিকিটগুলো কালোবাজারি করে খোকসা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বিক্রয় করে থাকে তাহলে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এখন পর্যন্ত কেন চোখ পড়েনি? এবং নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি ভাড়া দেওয়ার পরে ট্রেনের সিট বা আসন পাওয়ার যায় তবে কি খোকসা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের এরকম কর্মকান্ড দেখার পরেও কি নীরব দর্শক বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
খোকসা রেলওয়ে স্টেশনে গেলেই এই বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। যাত্রীদের মুখ থেকে এও শোনা যায় যে ট্রেনের সিট বা আসন পেতে নির্ধারিত মূল্য থেকে দ্বিগুণ মূল্য প্রেরণ করতে হয় খোকসা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার কর্মকর্তার কাছে। এমনই নানা ধরনের হয়রানির অভিভ্রান্তির স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত বহু যাত্র। একজন যাত্রী “দৈনিক সময়ের সংলাপ” কে বলেন, আমি খোকসা থেকে বোয়ালমারী যাব টিকিটও কেটেছি এবং কি ট্রেনে শোভন শ্রেণীর বগিতে সিট পেয়েছি ভালোই লাগছে কিন্তু আমাকে নির্ধারিত মূল্য মানে ৭০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা দিতে হয়েছে, টিকিট লেখা আছে সত্তর টাকা। আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে কেন? আমার মতো আরো অনেক যাত্রী আছে যাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।
এই ধরনের আরও অনেক অভিযোগ “দৈনিক সময়ের সংলাপ” এর কাছে আসতে থাকে পরে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য “দৈনিক সময়ের সংলাপ” এর নিজস্ব প্রতিনিধি শেখ শোভন আহমেদ খোকসা রেলওয়ে স্টেশনে যায় এবং সেখানে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে। তথ্য সংগ্রহ শেষে তিনি বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বিকালে খোকসা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে যাত্রী বেশে টিকিট কাউন্টারে গোপালগঞ্জের টিকিট নিতে যায় প্রথমে খোকসা রেলওয়ে টিকিট কর্মকর্তা বলেন টিকিট আছে সিট বা আসন নেই। আমি তখন ফিরে চলে আসছিলাম তখন সেই কর্মকর্তা আমাকে ডেকে বলেন সিট বা আসন দেওয়া যাবে ব্যবস্থা করছি তবে আপনাকে ১৮০ টাকা দিতে হবে এবং এই কথাটি বাহিরে প্রকাশ করা যাবে না তারপর আমি বলি খোকসা থেকে তো গোপালগঞ্জের টিকিট ১২০ টাকা তখন তিনি বলেন আমিতো সেট দিচ্ছি নিলে নিন না নিলে না নিন।
২০১২সালের ১০ই জানুয়ারী বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এবং সেটি মানছে না খোকসা রেলওয়ে টিকিট বিক্রয়কারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে একদিকে মানুষ টিকিট নিবে না কারণ বেশি টাকা না দিতে পারলে টিকিট নিলেও সিট বা আসন পাওয়া যায় না এবং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।