মো রাসেল সরকার, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ ও গজারিয়ায় মিগজাউম নিম্নচাপের প্রভাবে অসময়ের বৃষ্টিতে অধিকাংশ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আলু চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলু অতি লাভজনক হওয়ার কারণে এবছর অনেকেই আলু চাষের দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু গত বুধবার সন্ধা ও বৃহস্পতিবার টানা অনাবৃষ্টিতে আলুর ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে। ফলে যেসব জমিতে পানি জমেছে ঐ সব জমির আলু হবে না। আলুর উৎপাদন কিছুটা হলেও দ্রুত পচন ধরবে বলে মনে করছেন চাষিরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার কৃষকরা অন্য আন্ন্য ফসলের পাশাপাশি মাত্র চাষ শুরু করেছিলেন। তবে এই সময় নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে মুন্সীগঞ্জ ও গজারিয়ায় আলু চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা যায়, দেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সিগঞ্জ জেলা ও গজারিয়ায় বিস্তীর্ণ জমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে।ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। সবেমাত্র আলুবীজ রোপণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ফলে নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে আলুবীজ বৃষ্টির পানিতে ডুবে এখন পচনের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
গুয়াগাছিয়া গ্রামের কৃষক জহির শেখ জানান, আমি সবেমাত্র এক একর জমিতে আলুবীজ রোপণ করেছি। আরো পাঁচ একর জমিতে আলুবীজ রোপন করব। এর মাঝেই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নিম্নচাপে সৃষ্টি হয়ে সব জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আলুবীজ বৃষ্টির পানিতে ডুবে এখন পচনের মুখে। আলুর বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাকে।
ভবেরচর ইউনিয়ন কৃষক আমির হোসেন জানান, জমিতে সার এবং কীটনাশক দিয়ে আলুবীজ রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে , বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতকৃত জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা।
বাউশিয়া ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম সহ একাধিক জানানসার ও বীজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে লাভের পরিমাণ আগের মতো নেই। তারপরও কৃষি বিভাগ কিছু অনুদান দিয়ে সার ও বিজ দিয়ে এ বছর সহযোগীতা করেছে। এতে কৃষকদের উপকার হয়েছে। কিন্তু যে আশা নিয়ে বীজ বপণ করেছে তা যেন পানিতে ডুবে আছে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে শীতকালীন সব ধরনের সবজিরই ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ইমামপুর ইউনিয়নের কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান এই বছর অনেক আশা নিয়া আলু ক্ষেত করলাম। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আলু একদম শেষ। এই ক্ষতি কেমনে পুষিয়ে উঠবো তা ভাবতে পারছি না।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম জানান আমরা কৃষকদের সরকারিভাবে সার ও বীজ প্রদান করেছি। তবে অসময়ের বৃষ্টি ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।