মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের পুষ্টির উপর দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত গাজীপুর জেলা পেশাজীবী সাংবাদিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হচ্ছে ভারত বাংলার যৌথ কাব্যগ্রন্থ বন্দি শালার পাখি জামায়াতের আমীরের আগমন উপলক্ষে গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কবিতাঃ অর্থহীন প্রেম রাউজান খলিলাবাদ মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা র ৪৫ তম বার্ষিক মাহফিল সম্পন্ন সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দুটি চয়েস দিয়েছিল : মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাহিরপুর ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত ছয় মাস বন্ধ থাকার পর ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি শুরু সাতক্ষীরা পৌর নারী সুরক্ষা ফোরামের ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৫৬ বার পঠিত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি

জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকদের রোপা আমন ধান ক্ষেতে পোকা- মাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার বেড়েছে। পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় কৃষকের কাছে পদ্ধতি দুটি দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর ব্যবহার। এর কারণে ফসল নষ্টের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন তারা। সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভা ব্লকে দেখা যায়, আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি স্থাপনের বিভিন্ন চিত্র। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ রাশিদুল কবির কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ওই ফাঁদের ক্ষতিকর পোকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলা ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত থেকে অধিক ফলন ঘরে তুলতে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস। সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা। পোকা মাকড়ের আক্রমণে ফসলের যেন ক্ষতি না হয়, সেই চিন্তায় দমন করা হচ্ছে। ক্ষতিকর ধান ক্ষেতের প্রধান শত্রু কারেন্ট, মাজরা, গান্ধি ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং দমনে জমিতে আলোক ফাঁদ ও পার্চি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেভাবে স্থাপন করতে হয় আলোক ফাঁদ-সূর্যাস্তের পরই ক্ষেতের একটু দূরে শক্ত বাঁশ-কাঠ কিংবা তিনটি লোহা দিয়ে স্ট্যান্ড বানাতে হয়। সেখানে একটি পাত্রের মধ্যে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রণ করে একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর আলোর সাহায্যে ওই পাত্রে আসতে শুরু করে উপকারি ও অপকারি পোকা। এসব পোকার মধ্যে ক্ষতিকর পোকাগুলো চিহ্নিত করতে হয়। সেগুলো নিধন করতে কৃষি কর্মকর্তারা দিয়ে থাকেন ব্যবস্থাপত্র। এতে ব্যবহার করতে হচ্ছে, ক্যারাটে, ফাইটার, সুমিথিয়ন, একতারা, ছেতারা ও ভিরতাকো নামের কীটনাশক। এক লিটার পানি ও দুই মিলি ওষুধ মিশ্রণ করে সকালে অথবা বিকেলে স্প্রে করতে হয়। এভাবেই পোকা-মাকড় দমন করছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতিও।

যেভাবে স্থাপন করতে হয় পার্চিং পদ্ধতি- আবাদকৃত আমন ধানের বিভিন্ন জমিতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি (খুটি) মাটিতে পুঁতে রেখে পাচিং পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। যাতে এসব ডালের উপর দোয়েল, ফিঙ্গে, শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি গিয়ে বসে রোপা ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা- মাকড় খেয়ে ফেলতে পারে।পৌর মহল্লার কৃষক আসর উদ্দিন বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। সেগুলো থেকে ভালো ফলন পেতে আলোক ফাঁদ ও পার্চিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকাগুলো কীটনাশক ছিটিয়ে নিধন করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভশীল। আমরা তাদের লাভবান করতে বদ্ধপরিকর। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি রোপা আমনে অধিক ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা পোকা-মাকড় দমনে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার চলমান থাকবে।

 

 

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।