বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে লিমা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে উঠান বৈঠক বকশীগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পৌর সচিবের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র সহ তিনজনের সংবাদ সম্মেলন বকশীগঞ্জে সিরাতুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:): জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত । মুন্সীগঞ্জে মিরকাদিম ছাত্রদল নেতা কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করলেন – জসীমউদ্দিন স্বপ্ন পূরণ যুব ফাউন্ডেশনের নতুন সদস্য বরণ ও সেরা সদস্যদের মাঝে সম্মননা ক্রেস্ট বিতরণ ২০২৪ইং বকশীগঞ্জ পৌর সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কালিগঞ্জে বর্তমান চেয়াম্যানের বাড়ি জ্বালানোয় মামলা করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  বকশীগঞ্জে পুলিশ সদস্য ও তার ভাইয়ের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দ্বশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

গ্রেফতারের ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ভোলায় আহত বিএনপির নেতাকর্মীরা।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৩৫ বার পঠিত

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ

গ্রেফতারের ভয়ে ভোলায় পুলিশের রাবার বুলেটে আহত চিকিৎসাধীন ১৬ বিএনপি নেতাকর্মী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে তাদের হাসপাতালে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সূত্র জানায়, গত রবিবার বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ চালাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দিন রাতে ভোলা সদর মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে এ খবর আহতদের কাছে পৌঁছলে তারা হাসপাতাল থেকে কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যান।

ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জসিম বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী হত্যার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেন। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাতনামা আসামি। মামলা এবং পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের খবর পেয়েই শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান।

সার্জারি ওয়ার্ডে কর্মরত এক জ্যেষ্ঠ সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুলিতে আহত হয়ে বিএনপির ২১ জন নেতাকর্মী এই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। গত রবিবার দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারা ভর্তি হন। তাদের মধ্য পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠনো হয়েছে। বাকি ১৬ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু তাদের গতকাল সোমবার সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি সকালের চিকিৎসাও কেউ নেননি। ২১ জনের মধ্যে রাব্বি নামের একজনের নামে কেবিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তিনি কেবিনে না গিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন।

ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বেডে ছিলেন রুবেল, ৪ নম্বর বেডে ছিলেন মনির। তারা সকাল ১০টায় বেড ছেড়ে চলে গেছেন। ওই বেডের পাশে মেঝেতে থাকা অপর রোগীর স্বজন শামসুদ্দিন জানান, এই ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছয়জন রোগী ছিলেন। তারা একে একে সকাল ১০টার মধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। এ সময় বলতে শুনেছি, ভোলায় মামলা হয়েছে। যেকোনো সময়ে আটক হতে পারেন। তাই যে যেভাবে পেরেছেন চলে গেছেন।

১৬ জন পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলামকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ‘ভোলার ঘটনায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি বিএনপির নেতাকর্মীদের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা ছিল না। থাকলে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নজরদারিতে রাখা হতো।

উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় মো. আব্দুর রহিম নামের একজন নিহত হয়েছেন। ছয় পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৫০ জন। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে নাম উল্লেখ করে ৭৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।