মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী জহির ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বহিরাগতদের হামলায় সেক্রেটারী কাইয়ুম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহত কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগরে যুব অধীকার পরিষদের তিন নেতা গ্রেফতার,ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নেতাদের  গর্জিয়াস গ্রুপের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মুন্সিগঞ্জে স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ছাত্রসমাজের উদ্দেশে দেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতির সম্পূর্ণ বক্তব্য মুন্সীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টঙ্গীবাড়ি উপজেলা শাখার শুরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত । শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছক ফাঁস অ্যামেরিকার সংবাদ মাধ্যমেই বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’র সিইও সুজিত চক্রবর্তী কর্তৃক হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ‘মানববন্ধন’ কালিগঞ্জে রাস্তা নির্মানের ছয় মাসে নষ্ট,ছয়কোটি টাকার কাজ প্রশ্নবিদ্ধ জনগণকে সেবা দিতে সরকারি কর্মচারিদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান -মন্ত্রিপরিষদ সচিবের

চট্টগ্রামে কামারদের বেড়েছে ব্যস্ততা 

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ১২৩ বার পঠিত

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রামঃ

ঈদুল আজহাকে ঘিরে চট্টগ্রামে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা। ক্রেতারা খুঁজছেন শান দেয়া ঝকঝকে দা ও ছুরি। কেউ কেউ পরখ করে নিচ্ছেন ঠিকমতো হাঁড় কাটবে কিনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কামার পাড়ায় ঝনঝন শব্দ জানান দিচ্ছে তাদের কাজের ব্যস্ততা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও কর্মকাররা ক্ষতিকর যন্ত্রপাতির অপব্যবহার করতে দেন না বলে জানিয়েছেন। একসময় কৃষিকাজ, বাড়িঘর মেরামত ও গৃহস্থালী কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো কামারদের। ব্যবসাটা তখন ছিলো জমজমাট। হাল আমলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সেই পেশা এখন কোনঠাসা হয়ে পরেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও গ্রামে গ্রামে ছিলো কামারদের অবস্থান। এখন কাঁচামালের মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসানের কারণে শত শত মানুষ এই পেশা পরিবর্তন করেছেন। তবে কামারদের দক্ষ হাতের কাজের এখনো জনপ্রিয়তা রয়েছে। যতোটা না রেডিমেড দা-ছুরির ব্যাপারে। ফলে কোরবানি এলেই আবার লোকজন ছুটে আসেন কামারদের কাছেই। এই ছুরি বা দা দিয়ে কোরবানি দেয়া গরুর যেকোনো হাড় বা শক্ত মাংস সহজে কাটাকাটি করা যায়। ভোগান্তিতে পরতে হয় না তাদেরকে। গুণগতমানের কারণে এখনো মানুষ তাদের কাছে আসে।চট্টগ্রামে সদর উপজেলার কর্নফুলী বাজারের সবচেয়ে পুরাতন কর্মকার একরাম জানান, প্রায় ৩৬ বছর ধরে এই পেশায় আছি। পেশাটার প্রতি মায়া পড়ে গেছে। ছাড়তে পারি না। এখন ১২/১৩ টাকার কয়লা ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজির লোহা কিনতে হচ্ছে একশ টাকার উপরে। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের তৈরি জিনিসপত্রের দাম তেমনটা বাড়েনি। ফলে অল্প লাভেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা আনোয়ারা রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা অনিল ও অমরেশ দুই ভাই প্রায় ৩৭ বছর ধরে কামারের কাজ করছেন। পাশেই কাজ করছেন তাদের গ্রামের কৃষ্ণ মোহন। তারা জানান, একসময় ছিনাইতে ২৫ ঘর লোক কামারের পেশায় নিয়োজিত ছিলো। এখন ৮ থেকে ১০ জন এই পেশায় আছে। বাকিরা অন্য পেশায় চলে গেছে। এখানে তৈরি করা হয় দা,বটকি,চুরি,হন্দা,কুড়াল,কাঁচি, সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারিত জিনিস পত্র। এসব যন্ত্রপাতি তৈরি করতে প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেয়া লাগে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, এসব যন্ত্রাদি তৈরি করতে তাদেরকে কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিতে হয় না। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হয় এমন যন্ত্রপাতি তারা কখনো তৈরি করেন না। শুধুমাত্র সাংসারিক ও মাঠের কাজে ব্যবহার করা যায় এমন জিনিসই তৈরি করে আসছেন তারা যুগের পর যুগ ধরে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।