তাপস কুমার ঘোষঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের বহুলালোচিত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাকিম অবশেষে কারণ দর্শানো নোটিশে সাড়া দিলেন। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই শিক্ষক বিদ্যাপীঠের দায়িত্ব পালনকালে ধরাকে সরাজ্ঞান করে ২৮ টি দোকানের ভাড়ার টাকাসহ বিভিন্ন আয়ের কোনো হদিস দেখাতে পারেননি। সোমবার (২০ নভেম্বর ) বিকালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যাপীঠের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়লের উপস্থিতিতে কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন পৃথক তিনবার নোটিশ পাওয়ার পরে। জানাগেছে, বিদ্যালয়ের নীতিমালা পরিপন্থী বিভিন্ন কার্যাবলী ( আর্থিক ও প্রশাসনিক), ন্যস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা, ব্যর্থতা, অবাধ্যতা এবং ম্যানেজিং কমিটিকে চরমভাবে অবমাননা করার কারণে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রবিধানমালা -২০০৯ এর ৪৬ ধারার ৬ এর উপধারা অনুযায়ী সোমবার (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির ১২ তম সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিমকে সাময়িক বরখাস্তাদেশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ডজন ডজন অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যাপীঠের তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য আজগর হোসেন গাইন ও মিজানুর রহমান এবং শিক্ষক প্রতিনিধি ফারুক হোসেন জানান, বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরে সোমবা বিকালে লিখিত জবাব দাখিল করে তড়িঘড়ি চলে গেছেন। তবে চাহিত বিষয়াদি উপেক্ষা করে অনেকটা যোগাখিচুড়ি গোচের জবাব দিয়েছেন যারমধ্যে আয় ও ব্যায়ের চরম অসংগতি বিদ্যমান। সবকিছু তদন্ত প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হবে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর ফিরিস্তি, এমনটা জানালেন স্কুলের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।