প্রশান্ত বিশ্বাস যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা কেন্দ্রীয় মহাশশ্মানের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রথমদিকে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা । ইতিমধ্যে শশ্মানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য ক্রয় করা হয়েছে প্রায় তিন একর জমি। কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে উপজেলার সর্বৃবৃহৎ শশ্মান এটি।
সোমবার (১ মে ) ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আধুনিকায় কাজের উদ্বোধন করা হয়। সকালে চিত্রা নদীর পাড়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শশ্মান কমিটির সভাপতি স্বপন সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় বলেন, শশ্মানকে শুধু শশ্মান হিসেবে ভাবলে চলবেনা। এটাকে ধর্মীয় তীর্থস্থান হিসেবে রুপ দিতে হবে। এখানে মৃতদেহ সৎকারের পাশাপাশি পূজা-পার্বন, ধর্মীয় সভা ও সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। তাহলে দুর-দুরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পদচারণা ঘটবে। এতে শশ্মানের পবিত্রতা রক্ষা করা করা সহজ হবে।
শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিন্টু রায় জানান, ভারতের দক্ষিণেশ্ব কালী মন্দিরের ন্যায় একটি প্রবেশদ্বার তৈরি করা হবে। শশ্মানের তিনদিক প্রাচীরে ঘেরা থাকবে। মৃতদেহ সৎকারের জন্য নদীর পাড়ে তৈরি করা হবে পরিবেশবান্ধব দুটি কাঠের চুল্লি। দাহ করতে আসা যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার, শশ্মান কমিটি ও অতিথিদের জন্য আলাদা ভবনসহ প্রয়োজনীয় দোকানঘর থাকবে। সেখানে শশ্মান যাত্রার সামগ্রী মিলবে। এছাড়া একটি কালীমন্দির নির্মাণ করা করা হবে। পুরো শশ্মান আঙিনা পরিণত হবে দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগানে।
শশ্মান আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ছরোয়ার ও শ্রীহরি বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু, জহুরপুরের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী, উপজেলা যুবলীগ নেতা রুবেল রানা, জেলা মহিলা লীগের সদস্য জাকিয়া সুলতানা, খাজুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সনজিৎ ঘোষ, খাজুরা হাট ইজারাদার খোকন মোল্যা, ব্যবসায়ী নেতা আনিসুজ্জামান গৌছিয়ার , মোজাহার শেখ, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইউসুফ হোসেন হিটলার , খাজুরা কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দির যুব কমিটির সদস্য তমাল কুমার মহন্ত প্রমুখ।