মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চিরতরে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক, দাবি যুবলীগের, ও যুবলীগের চেয়ারম্যান
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘যে মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে, যার বিরুদ্ধে রায় আছে, সে বক্তব্য দেয় এবং সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়’
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের নেতারা। তারা বলেছেন, “জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল বেনিফিশিয়ারি (সুবিধাভোগী)। তার সন্তান সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান বিদেশে থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিএনপির কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন। আরেকটা ১৫ আগস্টের ঘোষণা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। সমাবেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান বক্তব্য দেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল মূলত ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির এবং তাদের আন্তর্জাতিক দোসরদের। যার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে এ দেশ থেকে চিরতরে বিলীন করে দেওয়ার চক্রান্ত।
বিএনপির কর্মসূচিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখার প্রসঙ্গে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, যে মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে, যার বিরুদ্ধে রায় আছে, সে বক্তব্য দেয় এবং সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়। এতে দেশের জনগণ বিভ্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হাল ধরে দাঁড়িয়ে ছিল বলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি। একটা সভ্য জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। তা না হলে এদের হাতে যদি দেশ চলে যেত, আজকে কী অবস্থায় দেশ পরিণত হতো, চিন্তা করলে গা শিউরে ওঠে।
তারেক রহমান দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য যুবসমাজ, ছাত্রসমাজকে লেলিয়ে দিচ্ছে অভিযোগ করে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে (তারেক রহমান) দেখা যায় বিএনপির বিশাল বিশাল সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দিচ্ছে, উসকানি দিচ্ছে। দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য যুবসমাজ, ছাত্রসমাজকে লেলিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যুবসমাজকে ধ্বংস করছে, আবার আরেকটা ১৫ আগস্টের ঘোষণা দিচ্ছে। কারাগারের বাইরে থেকে তারেক রহমান দেশকে ধ্বংস করবে। বাংলার যুবসমাজ মনে করে, তাকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাইনুল হোসেন খান বলেন, যদি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করা হয়, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে রাজপথে কঠিন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে বাধ্য করব আমাদের আহ্বান বাস্তবায়ন করার জন্য।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের “মাস্টারমাইন্ড” জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের “মাস্টারমাইন্ড” ও দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে এসব দাবিতে নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয় যুবলীগ।