মোঃ লিটন মাহমুদ,মুন্সীগঞ্জঃ
৬ মাস ছেলে আবির হোসেন সাঞ্জু (৩২) আইন বিভাগের ছাত্রের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদছেন শাহজাহান বাদশা। চোখের সামনে ছেলের মৃত্যুর দৃশ্য তার পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়। শোকে-দুঃখে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন বেশির ভাগ সময়। জীবনের এই শেষবেলায় তার একটাই প্রত্যাশা- মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান তিনি। শনিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ২ টার দিকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামে শাহজাহান বাদশার নিজ বাড়িতে মৃত আবির হোসেন সাঞ্জু ও তার ছোট ভাই মৃত শেখ মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান এর স্মরনে এক শোক সভা, দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়।
এসময় শাহজাহান বাদশা সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান গত ৬ জুন সন্ধ্যায় সংবাদ পাই যে, আমার সন্তান আবির হোসেন সাঞ্জু ঢাকার ওয়ারী পেট্রোল পাম্প-সায়েদাবাদ যাওয়া পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সন্তানকে সনাক্ত করি। আমার পুর্ব শত্রুদের যোগসাজশে হাসপাতালে পোষ্ট মর্ডেম নির্ণয় ছাড়াই আমার ছেলের মরদেহ দাফন করতে বাদ্য করে তারা।
তিনি জানান, আমার ও আমার ছোট ভাই এর সম্পত্তির অবৈধভাবে গ্রাস ও ভোগ দখল করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তান কে হত্যা করেছে হয়েছে তারা। এবং আমাকে ওয়ারিশ শূন্য করার জন্য আমার পূর্বশত্রু মোঃ ওয়াসিম, মোঃ টুটুল, শামসুজ্জামান, মিজানুর রহমান, হামিদা বেগম ও রিয়াদ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তান কে হত্যা করেছে। পরে আমি ঢাকার ওয়ারী থানায় মামলা করতে গেলে থানায় আমার মামলা নেননি। পরে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি। সঠিক তদন্ত করে খুনিদের আইনের আওতায় আনার বাদী জানান তিনি তার স্বজনরা।