মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় খাল থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পার্থ হালদার (২৬) নামের এক ট্রলার চালককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভিমরুলী গ্রামের দুয়ারী খাল থেকে তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত দেড়টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ট্রলার চালক পার্থকে।
পরিবারের দাবি, ভিমরুলীর ‘পেয়ারা চাষি সমবায় সমিতি’ নামের স্থানীয় একটি এনজিওর মালিক জীবন কৃষ্ণ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পার্থকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, ‘অভিযুক্ত জীবন পার্থের কাছে টাকা পাবেন এ বিষয়টি সত্য। এর জেরে শনিবার জীবন তার ট্রলার আটকায়। তবে পার্থকে কে বা কারা খালে ফেলল সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পার্থ হালদারের চাচাতো ভাই সজীব হালদার বলেন, ‘ভাইকে নিয়ে এখনো হাসপাতালেই আছি।তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে।
সজীব আরও বলেন, ‘কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকদিন ধরে পার্থের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল জীবনের সঙ্গে। এর বাইরে পার্থর সঙ্গে আর কারো কোনো শত্রুতা নেই।
পার্থের স্ত্রী সমাপ্তি হালদার বলেন, ‘ছয় মাস আগে জীবন কৃষ্ণ বাবুর সমিতি থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন পার্থ। ট্রলার ভাড়া নিয়ে পেয়ারা বাগানে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর কাজ করেন। তার বাবা নেই,মা অসুস্থ। মাস তিনেক আগে বোনও মারা যায়। এর মধ্যে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় সমিতি থেকে লোকজন প্রতিদিন তাকে মারতে আসতো। তারাই আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে।
পার্থকে উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া সাগর হালদার বলেন, ‘পথচারী একজন হাত- পা বাঁধা অবস্থায় পার্থ হালদারকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
সাগর হালদার আরও বলেন, ‘এনজিও মালিক জীবনের সঙ্গে গতকাল শনিবার বিকেলেও তর্ক হয়েছে পার্থের। তারাই তাকে হত্যাচেষ্টা করেছে বলে আমার ধারণা।
এদিকে অভিযুক্ত জীবন রাত থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।