শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ভূমিহীন পরিবারের ছোট্ট মেয়ে ফারজানা“খুড়া পক্ষির শূন্যে উড়া,, সিনেমায় শিশু চরিত্রে অভিনয় করে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, ( জাতীয় চলচ্চিত্র ২০২২) এর জাতীয় পুরস্কারটি, টাংগুয়ার হাওর পাড়ের মেয়ে ফারজানা আক্তার এর হাতে তুলে দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ নম্ভবর) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে, সকল ক্যাটাগরির অভিনেতা, অভিনেত্রী, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক,ও শিশু শিল্পীসহ সকল শ্রেষ্টত্বদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র ২০২২ এর পুরস্কার তুলে দেন । এর মধ্যে টাংগুয়ার হাওর পাড়ের ছোট্ট মেয়ে ফারজানা আক্তার ও জাতীয় চলচ্চিত্র ২০২২এর, জাতীয় পুরস্কারে অংশীদারত্বের দাবিদার হয়ে, হাতে তুলে নিয়েছে বিজয়ের টপি। তাঁর এই গৌরব অর্জনে, স্থানীয় সর্বজনের মাঝে সুনামের ঝড় উঠছে উপজেলা জুড়ে।
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী ফারজানা আক্তার, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের যোগাযোগ বিছিন্ন অজয় পাড়া গাঁ, ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের
সায়েম মিয়ার মেয়ে সে ।
ফারজানা আক্তারের সফলতা দেখে, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক হাদি উজ্জামান তার টাইম লাইনে লিখেন, আমাদের অজয় পাড়া গায়েঁ অনেক প্রতিভা সম্পূর্ন শিশু রয়েছে, মেধা বিকাশের সুযোগ পেলেই, জাতীয় পুরস্কার অর্জন করতে পারে, ফারজানা আক্তারেই তার প্রমাণ। শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী ফারজানা আক্তার ও আমার বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। সে ভূমি হীন পরিবারের মেয়ে। সে যেন আরও এগিয়ে যেতে পারে,দেশ ও জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
উপজেলার ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের উদীয়মান তরুণ সমাজ সেবক, আফজাল হোসেন বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা -দীক্ষা ছাড়াই, জাতীয় পুরস্কার অর্জন করা, কতটুকু কষ্ট সার্ধ, তাঁরাই কেবল জানেন, যারা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। আর হাওর পাড়ের ছোট্ট ফারজানার প্রতিভার কাছে, হেরে গেছে দীক্ষা নেওয়া সকল
শিল্পীরা। এটা সাধারণ নয়, অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ভূমি হীন পরিবারের সন্তান ফারজানা। আমি,আরও বলবো, অজয় পাড়া গায়ে,অনেক প্রতিভা সম্পূর্ন শিশু- কিশোর রয়েছে। প্রয়োজক, প্ররিচালক মোহাম্মদ কাইয়ুম সাহেব এর মত, মন মানুষিকতা থাকলে, পতিত হীরায় আলোয় ঝিলিক ছড়ানো সম্ভব। এই মানুষটাকে ধন্যবাদ জানিয়ে, ছোট করবো না। উনার যেন, আরও মানবতার কল্যানে, উদ্যোগী হয় মন।শিশু শিল্পী ফারজানা আক্তার, যে খ্যাতি অর্জন করেছে। তার এই সুনাম অর্জনে আমরা গৌরবান্বিত। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।