শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে আনমনা প্রাঙ্গণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ককে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ বাকসাপ কর্তৃক লেখক পুরস্কার-২০২৫ নির্বাচিত হলেন যারা আজ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সংবাদ কর্মীসহ আহত ৭ জন রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠে বিআরডিবি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম নওগাঁর মান্দায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম থানায় মামলা নিতে হয়রানের অভিযোগ রায়পুরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে গুলি বোয়ালখালী ভাণ্ডালজুড়ির পানি চায় সিডিএ মধুখালীতে শীতের পুরান কাপড় বাজারে ক্রেতার ভিড়

তালায় মামলা চলমান অবস্থায় বাদীর আত্মহত্যা নিয়ে ধুব্রজাল

মোঃ জমির উদ্দীন ,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি তালা সাতক্ষীরাঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ১৭১ বার পঠিত

 

মোঃ জমির উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি তালা সাতক্ষীরাঃ

তালার সুভাশুনী গ্রামে জলিল শেখ নামক এক রাজমিস্ত্রী জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অপমানীত হয়ে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। এঘটনা নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনার ধুব্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, তালার সুভাশুনী গ্রামের জিল্লুর রহমান শেখের ছেলে জলিল শেখ(৩৫) গত ১ এপ্রিল রাত্র আনুমানিক ৩-৪ টার দিকে বাড়ির সামনের আম গাছে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর রাতে জলিলের স্ত্রী জোহরা বেগম তার স্বামীকে পাশে দেখতে না পেয়ে ঘরের বাহিরে এসে আম গাছে ঝুলান্ত লাশ দেখতে পান। পরক্ষণে স্ত্রীর ডাক ও চিৎকারে পরিবারের বাকি সদস্যরা এসে গাছ থেকে লাশটি নিচে নামিয়ে গ্রাম ডাক্তার দেখালে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে তালা থানা পুলিশ এসআই দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ পর্যন্ত জলিলের আত্মহত্যা ঘটনা স্বাভাবিক ছিল। তবে জলিলের মৃত্যুর ১-২ দিন পরে তার ছেলে ঘরের ভিতর পিতা জলিলের লেখা একটি চিরকুট খুজে পান। সেখানে তার আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে গেছেন।

চিরকুটে তিনি তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। এবং তিনি লিখে গেছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে তার বাড়ির সামনের বেড়া,ঘর ভেঙ্গে ও গাছ কর্তন করে নিয়ে

বিজ্ঞ সাতক্ষীরা আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় বাদীর আত্মহত্যা নিয়ে
ধুব্রজাল সৃষ্টি হয়েছে
তালার সুভাশুনী গ্রামে জলিল শেখ নামক এক রাজমিস্ত্রী জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অপমানীত হয়ে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। এঘটনা নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, তালার সুভাশুনী গ্রামের জিল্লুর রহমান শেখের ছেলে জলিল শেখ(৩৫) গত ১ এপ্রিল রাত্র আনুমানিক ৩-৪ টার দিকে বাড়ির সামনের আম গাছে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর রাতে জলিলের স্ত্রী জোহরা বেগম তার স্বামীকে পাশে দেখতে না পেয়ে ঘরের বাহিরে এসে আম গাছে ঝুলান্ত লাশ দেখতে পান। পরক্ষণে স্ত্রীর ডাক ও চিৎকারে পরিবারের বাকি সদস্যরা এসে গাছ থেকে লাশটি নিচে নামিয়ে গ্রাম ডাক্তার দেখালে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে তালা থানা পুলিশ এসআই দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ পর্যন্ত জলিলের আত্মহত্যা ঘটনা স্বাভাবিক ছিল। তবে জলিলের মৃত্যুর ১-২ দিন পরে তার ছেলে ঘরের ভিতর পিতা জলিলের লেখা একটি চিরকুট খুজে পান। সেখানে তার আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে গেছেন।

চিরকুটে তিনি তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। এবং তিনি লিখে গেছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে তার বাড়ি সামনের বেড়া,ঘর ভেঙ্গে ও গাছ কর্তন করে নিয়েছে এলাকার কিছু ব্যক্তিবর্গরা। তাদের নামে আদালতে মামলা করায় মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে তার পিতা ও তাকে অপমান করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাহির করে দেওয়া হয়। প্রতিনিয়ত তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। তাই সে অপমান সহ্য করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী চিরকুটে উল্লেখ করা ব্যক্তিরা।

জলিল শেখ মৃত্যু আগে চিরকুটে যাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তারা হলেন,খলিল মোড়ল,আক্কাজ মোড়ল, মতিয়ার মাষ্টার,সাইদ মোড়ল,জাহিদ মোড়ল,কপিদুল মোড়ল,ড্যানি মোড়ল,আজিত খাঁ,মজিবার মোড়ল সহ কয়েকজন।

জলিলের পিতা জিল্লুর রহমান জানান, আমার শশুরের দেয়া ১১শতক জমির উপর বসত ভিটা নির্মাণ করে আনুমানিক ৩৫/৪০বছর বসবাস করি। হঠাৎ করে কিছু দিন আগে আমার প্রতিবেশি আমাদের উপর আচমকা ক্ষিপ্ত হইয়া ছেলে জলিল শেখের বাড়ির ভাংচুর করেন। তারা হলেন,একই এলাকার খলিল মোড়ল(৩৫),জাহিদ মোড়ল(৫৫),সাইদ মোড়ল(৫৮),আজিজ খাঁ(৪২) এলাকার কিছু কুচক্রী মহল। পরে আমাকে ও ছেলে জলিল শেখ মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে তাকে বিভিন্ন ভাবে অপমানজনক কথা বলায় এবং মারধর করায় এই অভিমানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ।

জলিল শেখের মা আছিরোন বিবি জানান, মজিবার মাস্টার ও মতিয়ার মাস্টার সহ এলাকার একটি কুচক্রী মহল আমাদের জমি দখল করে নিতে চাই। সেজন্য আমার ছেলে বাদী হয়ে বিজ্ঞ সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার কারণেই আজ আমি ছেলে হারা হয়েছি।আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।

জলিল শেখের বোন মনজিলা বেগম জানান, জমি জমা নিয়ে আমার ভাই সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে। যার মামলা ধারা নাম্বার৪৪৭ /৪২৭ /৫০৬ (২য় অনু)/১১৪ পেনাল কোড।আমার ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের ভেতর থেকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজহ ও মারপিট করে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে এলাকাবাসী জানান,জলিল একজন ভালো ছেলে ছিলেন। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন । তার সাথে কোন ব্যক্তি ঝামেলা হয়নি। তবে তাদের পারিবারিক জমি নিয়ে এলাকার কিছু লোকের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ধারণা করছি তারই ধারাবাহিকতায় সে আত্মহত্যা করতে পারে।

এবিষয়ে অভিযুক্তদের সহিত যোগাযোগের জন্য কয়েকদিন ধরে চেষ্টা অব্যহত রাখলেও তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, আত্মহত্যাকারী জলিলের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তার মৃত্যুতে তালা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। চিরকুটের বিষয় সংবাদকমীদের মাধ্যমে অবগত হয়ে মামলা তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এলাকার কিছু ব্যক্তিবর্গরা। তাদের নামে আদালতে মামলা করায় মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে তার পিতা ও তাকে অপমান করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাহির করে দেওয়া হয়। প্রতিনিয়ত তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। তাই সে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী চিরকুটে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।