তাহিরপুর ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনার, শুরু হয় (১৭৫৭-১৯৭১) সাল পর্যন্ত।এসব যাতা কলে প্রায় ২শতবছর পরাধীনতার গ্লানি মাথায় নিয়ে যখন বাঙালি দিশেহারা। পথ ভ্রষ্ট জাতিতে পরিনত। ঠিক সেই মুহুতে, ব্রর্জকন্ঠে’ স্বাধীনতার ডাক দিয়ে
আওয়াজ তোলেন,’মুক্তিরদুত’ অজয় পাড়া থেকে বেড়ে ওঠা, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সেই ডাকে সায়ঁ দিয়েছিল মুক্তিগামী সকল বাঙালিরা। একত্ববাদ আর পণের, গর্জনে কেঁপে ওঠে অত্যাচারী,শোষণ খোর পাকিস্তানি শাসক। কম্পিত হয়ে ওঠে তাদের হৃদয় , যাঁর ফলে , অত্যাচার, অবিচার,হত্যাযঞ্জ চালায় অধিক হারে। তবুও ভীতু হয়নি, বাঙালি জাতি। বরং হুংকার দিয়ে ওঠে ছিল, মুজিব আছে বলে। কারণ আর কোন পথ খোলা ছিল না। হয় মৃত্যু, না হয় পরাধীনতার শিখলে। মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে ও ভয়ংকর পরাধীনতার জ্বালা , নেই বাক- স্বাধীনতা। তা-ই, নিজ অধিকার বাস্তবায়নে, দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে, মুক্তি পেতে, জীবন- যৌবন, বিসর্জন দিয়ে, রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে নিয়ে, দীর্ঘ নয় মাস যোদ্ধের মাধ্যমে , পাকিস্তানীদেরকে পরাজিত করে, স্বাধীনতা চিনিয়ে, লাল -সবুজের পতাকা উড্ডীয়মান করে, দামামা ছেলেরা ফিরে ছিল নিজ গৃহে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ঘোষণা করে সর্বজন মিলে। আর এ- দিবস উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের নানা আয়োজনে, মহান বিজয় দিবসের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ডিসেম্বর, শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় তাহিরপুর উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি, (তাহিরপুর- জামালগঞ্জ) থানার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সাহিদুর রহমান, উপজেলার সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মির্জা রিয়াদ হাসান, উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান উর দৌলা, উপজেলার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তৌফিক হাসান, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন,উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাহিরপুর উপজেলার পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী, উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক রুকন উদ্দিন, সম্মানিত সদস্য আবুল কাশেম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত সদস্য তোজ্জামিল, ইউপি সদস্য আকসান আখঞ্জী, সাংবাদিক সৈকত হাসানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন, এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র- ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষকা,স্কাউট দলের প্রতিনিধি প্রমুখ।
এছাড়াও স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ, ইলেক্ট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মী।
এ-র পূর্বে, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে, ৩১বার কুচকাওয়াজের তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা,শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণে শ্রদ্ধাঞ্জলি। সকাল ৮টার সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার। সকাল ১০টার সময় উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত, ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
পরিশেষে, শরীর চর্চা প্রদর্শনী ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।