আমজাদ হোসেন,(নওগাঁ)
হঠাৎ করে সাংবাদিক ফজলুল করিম সবুজের লেখাটা দেখে আমার চোখে জল এসে গেল, এই ঘটনাটা ঘটেছে প্রায় দুই বছরের মত হয়ে গেল, কিন্তু বিবরণ উপরে তুলে ধরা হয়েছে আসলেই হবু হবু মিল আছে কথাগুলোর ওইদিনের ঘটনার সাথে , এবং আমিই সেই হতভাগা ব্যক্তি,
এই ঘটনা ঘটেছিল মান্দা উপজেলার নীলকুঠি নামক স্থানে,
আমি আমার মামার বাড়িতে গেছিলাম জমি জমা সংক্রান্ত একটা বিষয় নিয়ে মীমাংসার জন্য। কিন্তু সেখানে অনেক কথা কাটাকাটি হয়েছিল আমার খালুজানের সাথে সেই কথাগুলো সবার সাথে মিল মিস করে দিয়ে আসতে আমার দেরি হয়ে যায় অনেক রাত্রি পর্যন্ত, সবাই আমাকে থাকার জন্য অনুরোধ করলো তারপরও আমি রাতে চলে আসলাম, ফেরিঘাটে এসে আমি এক কাপ চা খেয়ে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে, মোটরসাইকেল টি স্বাভাবিক অবস্থায় আসছিল মান্দা উপজেলার রাজশাহী টু নওগাঁ হাইওয়ে শরীর মোড় এলাকায় হঠাৎ লুকিং গ্লাসে ফলো করে দেখি একটা প্রাইভেট কার আমার পিছনে আসছে। আমার ওখানে কি যে হয়ে গেল আমার মোটরসাইকেলে গতিবেগ প্রায় 96 উঠে গেল তারপর সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি খুব বড়সড়ো একটা জংলা শুকুর ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তার এক পাশে পড়ে আছে, আমি ঠিক ৩০ থেকে ৪০ হাত দূরে থাকা অবস্থায় আমি ওই জিনিসটা দেখতে পাই দেখতে পাওয়ার পর মোটরসাইকেল আমি কন্ট্রোলে নিয়ে আসার চেষ্টা। করি মোটরসাইকেলটি অনেক কন্ট্রোলেও আসছিল কিন্তু পুরোপুরি কন্ট্রোলে না আসার কারণে আমি মোটরসাইকেল আল্লাহর নাম নিয়ে ওই জংলা শুকুরের উপর দিয়েই উঠায়া দি। আমি প্রথমে বুঝতে পারলাম আমার মোটরসাইকেলের সামনের চাকা তার উপর দিয়ে পার হচ্ছে ঠিক সেই সময় আমার মাথায় খুব বড়সড়ো একটা আঘাত হয়, তারপরে আমি আর কিছুই বলতে পারব না মোটরসাইকেলটি চলা অবস্থাই আমার সেন্স হারিয়ে যায়, প্রায় ৩০০ মিটার মোটরসাইকেলের উপরে আমি বসে ছিলাম সেন্স ছাড়া অবস্থায় মোটরসাইকেলের গতি যখন একেবারে কমে গেছে ঠিক তখনই রাস্তার এক পাশে পড়ে যেয়ে আমার মুখমন্ডল সহ আমার নুকের কলার বন ভেঙ্গে যায়, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আসলে আমার মোটরসাইকেল এর গতিবেগ আমি নিজে ইচ্ছা করে আনার চেষ্টা করিনি কারন শরীর মোড় হইতে ৫০০ মিটারও কম রাস্তা আসলে কুটির মোড়, এই নীলকুঠির মোড়ে হইতে আমি গুড গাড়ি হয়ে আমার বাসায় চলে যাব, কিন্তু হঠাৎ করে কেন আমি জানিনা আমার মোটরসাইকেল গতিবেগ অত্যন্ত বেড়ে গেছে পিছনে মাইক্রোবাস ও সবকিছু দেখছিল এক্সিডেন্ট এর দৃশ্যসহ দেখার পর আমি যখন রাস্তায় পড়ে গেছি তখন ওই ব্যক্তি মাইক্রো থামিয়ে আমাকে রাস্তার এক সাইটে রেখে। মোটরসাইকেল দিয়ে বেড়া দিয়েছে আমাকে যাতে অন্য কোন যানবাহনে এসে আমাকে চাপা না দেয়। আরেকটা ভালো কাজ করছে সেটা হল ওখানকার স্থানীয় আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই সবুজ যে কথা বলেছে এটাই সত্য, ওই মাইক্রোবাস অলা স্থানীয় দোকানদারকে ডেকে তুলে আমাকে চিকিৎসা করার জন্য অনুরোধ করে চলে যায় তিনি, আল্লাহ যেন তার ভালো করে। এখন পর্যন্ত আমি ওই সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় আছি। আল্লাহ মাফ করুক সবাইকে, আমিন