মোঃ রায়হান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় আদালতে জমির দলিল যাচাই সংক্রান্ত মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জমি অধিগ্রহণকৃত ক্ষতিপূরণের ২১ লাক্ষ ৭৬ হাজার টাকার চেক মামলার বাদী মরিয়ম বিবিকে না জানিয়ে বিবাদী চেক হস্তান্তরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মান্দা উপজেলার ১০নং নুরুল্যাবাদ ইউপি, নুরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত শুকুর আলীর মেয়ে মরিয়ম উক্ত চেক উদ্ধারে নওগাঁ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ মৌজায় আত্রাই নদীর উপর ২১৭ মিটার দীর্ঘ পিএসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এল এ কেসের আর এস ১২৭৭ নং খতিয়ানের প্রজা মৃত শুকুর আলীর মেয়ে মরিয়ম বেগমের ভোগ দখলীয় ২৮৫৪, ২৮৫৬, ২৮৫৭, ২৯২২ ও ২৭২৮ দাগে মোট জমি ১.৪৪ এর মধ্যে ২৬.২৫ শতক জমি অধিগ্রহণ করে। অপর দিকে ঐ সম্পত্তি দলিল মোলে মালিকানা দাবি করে মৃত ফয়েজ উদ্দিনে ওয়ারিশগন। কিন্তু ফয়েজ উদ্দিনের এই ৭৫৭৯নং দলিল সঠিক নয় বলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৮২/২০২২নং মামলা দায়ের করেন মরিয়ম বেগম। ভুক্তভোগী মরিয়ম জানান, আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির ২১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার চেক বিবাদী পক্ষকে প্রদান করেন। এমতাবস্থায় উক্ত চেক উদ্ধারে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি তিনি। চেক হস্তান্তরের ব্যাপারে জানতে চাইলে, নওগাঁ জেলা প্রশাসকের এল এ শাখার সার্ভেয়ার দেবদুলাল চন্দ্র জানান, গত ১০ অক্টোবর শুনানির মাধ্যমে চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, মরিয়ম বিবির মামলা যেহেতু চলমান রয়েছে। আদালতের রায় তাদের পক্ষে গেলে চেক উদ্ধার করে তাদের হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা আদালতে থাকলে কি চেক দেওয়া যাবে না, আদালত কি বলছে চেক দেওয়া যাবেনা, মামলা তো তাদের বিষয়, আমাদের সঙ্গে তো মামলা নেই, আমরা যার জমি অধিগ্রহণ করেছি রেকর্ডে যার নাম আছে তাকেই তো আমার দিব। কোর্ট যদি বলে চেক দেওয়া ঠিক হয়নাই, তাহলে চেক উদ্ধার করে যে পাবে তাকে দেওয়া হবে।