মোঃ রায়হান আলী, নওগাঁর প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও এক নারীকে এলোপাথাড়ি মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬জুলাই) উপজেলার ৭নং প্রসাদপুর ইউনিয়নের মটগাড়ী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হাসিনা মটগাড়ি গ্রামের মৃত আঃ গফুরের মেয়ে। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন, আহম্মদ আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম ( ৩৮), আবুলের ছেলে আলাউদ্দীপিন (৩৫), তার স্ত্রী শাকিলা (২৮), সাদেকুলের স্ত্রী সফুরা বেগম ( ৩২), তার ছেলে শামীম (২১), তাহেরের ছেলে আবুল(৫৫), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম সর্ব সাং মটগাড়ি। এঘটনায় ভুক্তভোগী হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ০৬/০৭/২৩ইং তারিখে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত সাদেকুল গংরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ভাংচুর ও এলোপাথাড়ি মারপিট করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে অভিযুক্ত ছাদেকুল গংরা মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমরা মারপিট করিনি কিন্তু হাসিনা সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, মারপিট করে আমাকে জখম করে। আমি সরকারি মেডিকেলে ৫দিন চিকিৎসা নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু এস আই আবুল কালাম আমাকে না জানিয়ে গোপনে আসামিদের সঙ্গে আঁতাত করে একতরফা ভাবে তদন্ত করে চলে যান।
পরে আমি জানতে পেরে এস আই আবুল কালাম স্যারের কাছে তদন্তের বিষয়ে জানতে গেলে তিনি আমার ওপর চড়াও হয়ে রেগে গিয়ে টেবিল চাপড়ে ধমক দিয়ে বলেন, বেয়াদব মহিলা খারাপ মহিলা থানায় কেন আসছেন আপনার কোন অভিযোগ, মামলা কিছুই করা যাবেনা। এই মুহূর্তে বেরিয়ে যান। আর না গেলে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার এসআই আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মারপিটের ঘটনাটি ছিলাফোলা জখম ৩২৩ ধারার ঘটনা তাই এটি মামলা নেওয়া যাবে না। এটাই বলা হয়েছে বাদীনিকে। পুলিশ সেবা প্রত্যাশীদের ধমক দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থানা থেকে বের করে দিতে পারে কিনা? এমন প্রশ্নের তিনি বলেন যা লেখার আপনি লেখেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তবে পরে তিনি বলেন, বিষয়টি (জিডি) করে প্রসিকিউশনের আবেদন করা হবে।
মোঃ রায়হান আলী নওগাঁ
তাং ১৫/০৭/ইং