এস এ আখঞ্জী,তাহিরপুর;
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরের পার্শ্ববর্তী (খালাগাওঁ)নব্য গ্রামের, মসজিদের নির্মাণ কাজ অর্থ সংকটে বন্ধ।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি”বিদ্রোহী, কাজী নজরুল ইসলাম,, মসজিদের পাশে
থাকার আকুতি জানিয়ে কবিতার ছন্দে, ছন্দে তাঁর মনোভাব প্রকাশ করে, আত্মীয়- স্বজনসহ দে-শ বরণ দায়িত্বশীল
ব্যক্তি বর্গের কাছে অনুরোধ জানান। তাকে যেন চিরনিদ্রায় শায়িত করা
হয়, এই পবিত্র গৃহের পাশে।
তিনি লেখনীতে উল্লেখ করেন –,, – মসজিদের পাশে আমায়, কবর দিও ভাই, গোর থেকে আমি যেন,মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই,———। এই পবিত্র গৃহ নির্মাণে সকলেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন। মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি,, পৃথিবী ধবংস না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকব। এর লভ্যাংশ আবাদুল আবাদীন্তর। সুতরাং এর সদস্য হয়ে, পূর্ণতার অংশীদার হউন ।
নব্য গ্রামটি, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খালা গাং নদীর তীরে অবস্থিত। এখানের অধিকাংশ বসতিরা দরিদ্র লোক বটে। সার্ধ নেই, তবুও ধমে যায়নি তাঁরা। সাহস করে, সামর্থ অনুযায়ী চাঁদা উত্তোলনের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণ কাজ হাত নিয়েছেন , ধীরে ধীরে খানিকটা এগিয়ে নিয়েছেন নির্মাণ কাজ। কিন্তু মাঝ পথে এসে, অর্থ সংকটে পড়ে থমকে দাঁড়ায়। এখন নিরুপায় হয়ে, দেশ- বিদেশের ধর্মপ্রাণ ধনাঢ্য ব্যক্তি গনের কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন হাওর পাড়ের মুসল্লীরা।দানবীর-দানশীল ব্যক্তি বর্গ সহযোগীতা করলে, দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে।গড়ে ওঠবে, পবিত্র ঘরবাইতুন্ননূর জামের মসজিদ।এমনটা বিশ্বাস করেন মুসল্লীরা। এ ছাড়া আর কোনো দিক দেখছেন না তাঁরা।
মুসল্লীরা বলেন , মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হলে, হৃদয়ে ধাক্কা লাগে, মনে করিয়ে দেয়, তুমি সৃষ্টি, ধবংস হয়ে যাবে, সময় নেই, সত্যের পথে চল। মুসলিম হয়ে মসজিদ নির্মাণ করতে না পারলে, নিজেকে অপরাধী মনে হয়, তাই গ্রামের সবাই মিলে মসজিদ নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহ নামে ধ্বনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে শুনলে সভ্যতার আভাস মিলে। তার সাথে, শিশু কিশোররা ধর্মীয় শিক্ষা দীক্ষা অর্জনের সুযোগ পায়।এখানে মসজিদ নির্মাণ হলে, হাওরের পাদদেশে ধর্মীয় শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে মহল্লার প্রজন্মরা। তার সাথে বয়স্ক মুসল্লীরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
নব্য মসজিদটি,, মাটি ভরাট, ও চারচালে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বিট সমতল, চারপাশ বাঁধা,পাকাকরণ, মাইক, কারপেটসহ মসজিদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ব্যবস্তা হয়নি। আর এসব সংগ্রহ করতে হলে তিন- চার লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
মসজিদটির জমি দাতা সাবেক চেয়ারম্যান খসরুল আলমসহ সকল দানবীর ব্যক্তি এগিয়ে আসলে দ্রুত এবাদত খানা সম্পূর্ণ হবে। এমনটা বিশ্বাস করেন স্থানীয় মুসল্লীরা।
বাইতুন্ননূর জামের মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ডাঃ শামসুজ্জামান জানান, আল্লাহর রহমত এবং মানুষের ভালবাসা ও আর্থিক অনুদানের সহযোগিতা পেলে মসজিদের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে পারব। এটি সম্পূর্ন হলে গ্রামের শিশু কিশোররা কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা নামাজ আদায়ে সুব্যবস্তা হবে। সকল বিত্তবান ব্যক্তিবর্গকে মসজিদ নির্মাণ কাজে সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
খালাগাও বাইতুন্ননূর জামের মসজিদ কমিটির সভাপতি শহিদ মিয়া বলেন, নতুন মহল্লায় মসজিদ না থাকায়।বর্ষা ও হেমন্ত কালে অন্য গ্রাম গিয়ে নামাজ আদায় করা কষ্টস্বার্ধ হয়। যোগাযোগের অভাবে অনেক জন,ইচ্ছা শর্তে ও, জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন না। তাই বাধ্য হয়ে,দরিদ্র হতদরিদ্র পরিবারের মুসল্লীগনকে নিয়ে
মসজিদ নির্মাণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আল্লাহ ঘর নির্মাণে, আল্লাহ’র বান্দারা এগিয়ে আসবে। আমি মাত্র শুরু করলাম। সম্পূর্ণ করবেন তিনিঁ।
মসজিদ ঘর নির্মাণ কাজের সহায়তা বা দান প্রদান করলে,,,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর খালাগাও বাইতুন্ননূর জামের মসজিদ,কমিটির সভাপতি’ শহিদ মিয়া ও কোষাধ্যক্ষ ডাঃ শামসুজ্জামান’র মোবাইল নাম্বারে০১৭৩৯-৭৬২৬০৫/০১৭২৪-৪২০২২৪যোগাযোগ করে সহায়তা করুন।