সাদ্দাম উদ্দীন রাজ, রায়পুরা নরসিংদীঃ
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে ৭ম বারের মত নৌকার মনোনয়ন পেলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭ম বারের মত রায়পরায় নৌকার মাঝি হয়েছেন টানা ছয়বারের সাংসদ, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি।
২৬ নভেম্বর রোজ রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সারাদেশে তিনশত আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষনাকালে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০৩ নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে নৌকা প্রতীকে লড়াই করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপির নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষনা করেন। তিনি ৬ষ্ঠ বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ না থাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭ম বারের মত নৌকার মাঝি মনোনীত করেন। টানা ৩০ বছর দলমত নির্বিশেষে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাবেক এমপি।
চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে রাজিউদ্দিন ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামিলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএব রিয়াজুল কবীর কাউছার, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তৌফিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, আওয়ামিলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য রিয়াদ আহমেদ সরকার এবং এমপি পরিবারে এমপি পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থ, এমপি স্ত্রী কল্পনা রাজিউদ্দিন, এমপির ভাই সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু প্রমূখ।
সিইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রোববার।
আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় লোক মুখে এখন একটাই কথা- ‘ রাজুই রায়পুরার রাজা’ এবং সর্ব সাধারণের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। মনোনয়নের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই উপজেলায় দলীয় নেতা কর্মীবৃন্দ মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে যায়।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি’র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এসময় আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।