স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়নসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের ভূলে জয়নাল মিয়া নামে মানবিক শাখার একজন ছাত্র সম্প্রতি দাখিল পরীক্ষায় তাকে বিজ্ঞান শাখার বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারনে ছাত্রের সারা বছরের পরিশ্রম বৃথায় যাচ্ছে বলে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, ছাত্র জয়নাল মিয়া ২০২৩ সনের দাখিল পরীক্ষার্থী। নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামের দিনমজুর সিরাজ মিয়ার পুত্র। সে ঘোষপালা ফাজিল মাদ্রাসার মানবিক শাখার একজন নিয়মিত ছাত্র। গত ২০২১-২০২২ইং সেশনে একজন মানবিক শাখার ছাত্র হিসাবে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় এবং মানবিক শাখায় নিয়মিত শ্রেণী পাঠদান গ্রহন করে। কিন্তুু সম্প্রতি ৩০শে এপ্রিল দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে পায়। তার রোল নম্বর (৪০৩৩৭২) এবং রেজি: নম্বর (২০১৮৯৪৫৫২৮) কার্ডে বিজ্ঞান শাখার সকল বিষয় পত্র দেখতে পায়। সে গত দুই বছর যাবত মানবিক শাখার বিষয় পত্র পড়াশোনা করে আসছে, অথচ কর্তৃপক্ষের ভূলে এখন তাকে বিজ্ঞান শাখার সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে জেনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে ছাত্রের পিতা দিনমজুর সিরাজ মিয়া বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ। দিন আনি, দিন খাই। পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকাটাও অন্যএকজন দিয়েছে। পরীক্ষার দুইদিন বাকী। শুনতেছি ছেলেটা সারা বছর পড়ছে একটা বিষয়ে আর এখন অন্য বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে আমার ছেলের জীবনটার কি হবে ? আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ সকলের সহযোগিতা চাই, আমার ছেলে যে বিষয়ে পড়ছে, তাই যেন পরীক্ষা দিতে পারে। এ বিষয়ে ছাত্র জয়নাল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার স্যার আমার হাতে এডমিট ও রেজি: কার্ড হাতে দেওয়ার আগে আমার স্বাক্ষর নেন। তারপর কার্ড হাতে নিয়ে জানতে পারি বিজ্ঞান শাখা পরীক্ষা দিতে হবে। অথচ স্যার জানে আমি মানবিক শাখার ছাত্র এবং আমি স্যারকে বলছিও। নিয়মিত ক্লাসও করেছি। এখন বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া কি সম্ভব ? ঘোষপালা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এটা ছাত্রের গ্রুপ পরির্বতনের বিষয়ে আমার জানার কথা না। আর মাত্র দুইদিন আছে, এখন আমি কিভাবে কি করবো ? তবু চেষ্টা করে দেখি কিছু করা যায় কি না ? নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, এ দায়ভার মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে ? আমি সুপারের সঙ্গে কথা বলে দেখি, কোন সমাধান করা যায় কি না ? ভূলের কারনে এভাবে একটা ছাত্রের জীবন নষ্ট হতে পারে না।