স্টাফ রিপোর্টার ঃ
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর সমগ্র বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা প্রদান করেছেন। তারই ন্যায় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন করা হলেও নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না।
এতে বোরো মৌসুমে সেচ কার্যক্রম সহ স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন পরীক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন খামারীরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। এরজন্য বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
এদিকে আত্ম সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান মাসও বাদ পড়েনি লোডশেডিং এর কবল থেকে। সারাদিন রোজা রেখে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইফতার খাওয়া, তারাবির নামাজ পড়া ও সেহরি খাওয়ার সময়টুকু নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন মুসুল্লীগণ।
একই সাথে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধিগণ অন্তত এই তিনটি সময়ে বিদ্যুৎ থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। নান্দাইল পৌর সদর সহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের (১৩ ইউপি) একই অবস্থা।
সারাদিন তো বিদুৎ এই আসছে, এই গেছে অবস্থা বিরাজ মান। লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারন জনগণ। ইফতারের সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না, আবার তারাবির নামাজের সময়ও বিদ্যুতের তো দেখাই মিলছে না, আর সেহরির সময় মোমবাতি, কুপি বাতি ও হারিকেন জ্বালিয়ে কোন মতে সেহরি শেষ করতে হয়।
এরকম দূরাবস্থার মধ্যে রমজান মাস পার করতে চায় না মুসুল্লীরা। তবে লোড শেডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে শুরু হচ্ছে তোলপাড়। নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে এরপরেও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চিতের লক্ষ্যে নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ও কানরামপুর নামক স্থানে বিদ্যুতের গ্রীডসহ একাধিক সাব স্টেশন রয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের কর্ণপাত না করেই লোডশেডিংয়ের বিষয়টি এড়িয়ে চলছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কর্মকর্তা (ডিজিএম) প্রকৌশলী বিপ্লব চন্দ্র সরকার জানান, নান্দাইল উপজেলায় যতটুকু বিদ্যুতের মেগাওয়াট প্রয়োজন ততটুকু না থাকায় লোডশেডিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে শীঘ্রই এ বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশা করছি।