ওমর ফারুক রনি,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে ভুরার ঘাট ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক- কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও শূন্য পদ দেখিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুরার ঘাট এম,ইউ ফাজিল মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ,নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার, ল্যাব সহকারী, আয়া, অফিস পিয়ন,পদে
শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ প্রাপ্ত হইয়া দীর্ঘদিন ধরে
চাকরি করিয়া আসিতেছেন।নিয়োগকালীন ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তৎকালীন কমিটি কৌশলে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অবৈধ পন্থায় মোছা.নিলুফা ইয়াসমিন কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। নিলুফা ইয়াসমিন প্রভাষক আলাউদ্দিন মজুমদার, প্রভাষক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, প্রভাষক আনারুল ইসলাম, প্রভাষক হারুন অর রশিদ,সহকারী মৌলভী মোজাম্মেল হক,জুনিয়র শিক্ষক জেসমিন আক্তারের ফাইল এমপিও ভুক্তির জন্য না পাঠিয়ে নতুন গভনিং বডির যোগসাজশে পদগুলোতে কর্মরত নাই মর্মে শূন্য পদ দেখিয়ে এনটিআরসিএ বরাবর তালিকা প্রেরন করেন। এ বিষয়ে প্রভাষক বাংলা ও সহকারী মৌলভী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন যাহার নম্বর ৭৯১৭/১৯ যাহা বর্তমানে চলমান এবং গাইবান্ধা সহকারী জজ আদালতে ২৯০/২২,২৯২/২২,২৯৮/২২,২৯৯/২২ মামলা চলমান।তাছাড়া কমিটির বিরুদ্ধে ৭৫/২২,ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৬৭/২২ মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও গত ২৭ অক্টোবর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিধিবহির্ভূত ভাবে অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ,অফিস সহকারী, ল্যাব সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী, আয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছ.নিলুফা ইয়াসমিনের সাথে মুঠোফোন কথা বললে তিনি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কথা স্বীকার করেন।এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিধিবহির্ভূত কি না এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি তার উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,বেতন ভাতা ছাড়ায় দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসায় চাকরি করিয়া আসিতেছি।আমার নিয়মিত মাদ্রাসায় যাই।কিন্তু ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাদের ফাইল এমপিও ভুক্তির জন্য না পাঠিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। এটা নিয়মবহির্ভূত।বেতন ভাতা না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।