বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ছাদখোলা বাসে বাফুফে গমন চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের  রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার পিপি নিযুক্ত হলেন কালিগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে শাস্তির দাবীতে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে উধাও মাদ্রাসা সুপার,সুপারের নিয়োগ বাতিল চায় এলাকাবাসী আল্লাহওয়ালাদের সান্নিধ্যে যেতে হবে: মুফতী খলীল আহমদ কাসেমী  বোয়ালখালীতে এসএ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বিশ হাজার জরিমানা ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

নেতা হতে ৭ টি পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাবলু কারিকর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ১১৮ বার পঠিত

বাবলু কারিকর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভবিষ্যতে যারা নেতা হতে চান, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বেশ কয়েকটি  পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্স কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সংগ্রাম থেকে ভবিষ্যৎ নেতাদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরতে চাই।

শেখ হাসিনার দেয়া ৭টি পরামর্শ হলোঃ

১. নেতার মূল্যবোধ থাকতে হবে,

২. লক্ষ্যের প্রতি অটল থাকতে হবে;

৩. লক্ষ্য অর্জনে পরিপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে;

৪. দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সমাজে ‘চেঞ্জ মেকার’ হতে হবে,

৫. জনগণ এবং দলের ওপর আস্থা রাখতে হবে;

৬. মাতৃত্বের চেতনাকে জাগিয়ে তোলা এবং

৭. নতুন এবং ভবিষ্যতকে গ্রহণ করা।

এ ছাড়া জীবনের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে ভিশন এবং মিশন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।

জ্ঞান অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নযন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিযে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে, একটি স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট মানবসম্পদ থাকবে।

প্রযুক্তির বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। সারা দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য একটি আইন পাসের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম, ২৩ বছরের সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হওয়া এবং পরবর্তী সামরিক শাসন এবং ২১ বছর পর আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শক্ত ভিত গড়ে তোলে।

২০০১ সালের পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলকে বাংলাদেশের ইতিহাসে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির আরেকটি অন্ধকার যুগ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশের জন্য দেশকে প্রস্তুত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক খাতের সব বিভাগে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়। আমাদের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যয় আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের দেশ উন্নীত হওয়া। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।

সরকারের নানা কর্মসূচিতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে আসার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি, সঙ্গে ৪৬০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি। যেখানে ২০০৫-০৬ সালে দেশের জিডিপি ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালে ৫৪৩ ডলার, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে এটি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এটিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, নিরক্ষরতা দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই অগ্রগতি কোনো মিরাকল নয়, এটি কষ্টার্জিত সফলতা। এটা আমাদের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধু তাদের কাঙ্খিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে এই অবস্থানে পৌঁছানোর যাত্রা সহজ ছিল না। এ জন্য তাকে সারাজীবন অগ্নিপরীক্ষা এবং নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি কেবল দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।