বদরুদ্দোজা পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চগড় শহরে অবৈধ যানবাহনের চলাচল ও যানজটের কারণে সড়কে বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছিল। এ সমস্যা সমাধানে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ট্রাফিক আইন মানবো, সুশৃঙ্খল পঞ্চগড় গড়বো স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এবার শহরে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী ট্রাফিক ব্যবস্থাও চালু করা হচ্ছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে স্বেচ্ছাসেবী ট্রাফিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন এবং ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক চন্দন কুমার উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। শহরের যানজট সমস্যার সমাধানে ছাত্র ও শ্রমিকদের যৌথভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ট্রাফিক পরিদর্শক চন্দন কুমার স্বেচ্ছাসেবীদের সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও ট্রাফিক আইন প্রয়োগের বিভিন্ন পদ্ধতি হাতে-কলমে শিখিয়েছেন।
জানা গেছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পঞ্চগড় শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী ট্রাফিকরা কাজ শুরু করবেন। স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য লাল পোশাক এবং বাঁশি সরবরাহ করা হয়েছে। পঞ্চগড় পৌরসভার অর্থায়নে তাদের পোশাক দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ পাওয়া ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও শ্রমিক তিনটি শিফটে কাজ করবেন। প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, দ্বিতীয় শিফট দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ,তৃতীয় শিফট বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা, প্রতিটি পয়েন্টে আটজন করে স্বেচ্ছাসেবী
ট্রাফিক থাকবে। জেলা প্রশাসন থেকে তাদের জন্য প্রতিদিন আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, যানজট সমস্যাকে পঞ্চগড় শহরের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সমস্যা নিরসনে গত এক মাস ধরে পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ট্রাফিক পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী ট্রাফিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শহরের যানজট এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।