মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে এক নারী স্কুল শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। টেনেহিচরে তার গায়ের সালোয়ার কামিজ ছিড়ে ফেলা হয়েছে।আপত্তিকর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করা হয়েছে।এসময় তাকে রক্ষা করতে এসে অপর এক স্কুল শিক্ষক হামলার শিকার হয়েছেন।এর মধ্যে নারী শিক্ষিকাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মঙ্গলবার (২১জুন) সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। অপর শিক্ষককে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসমা খাতুন (৩৫) নামের এক স্কুল শিক্ষিকা ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার কর্মস্থল বালিয়া চাঁদপাল সরকারী প্রাইমারী স্কুল থেকে একটি অটো গাড়ি যোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে মিল আদাবাড়ীয়া ইউপির মিলঘর এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় হাসান নামের এক অটো গাড়ির ড্রাইভার আসমা খাতুনকে বহনকারী গাড়িটির গতিরোধ করেন এবং তাকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন। এসময় আসমা খাতুন কারণ জানতে চাইলে, হাসান তাকে গাড়ি থেকে টানাহেচরা করে নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামতে না চাইলে হাসানসহ আরও ৪-৫জন সহযোগী এসে তাকে গাড়ি থেকে টেনেহিচরে নামিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় ডাক-চিৎকার শুনে ফাহাদ নামের অপর এক শিক্ষক এগিয়ে আসলে তাকেসহ ওই নারী শিক্ষককে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করেন। এক পর্যায়ে হামলকারীরা শিক্ষিকা আসমা খাতুনের পরনের সালোয়ার কামিজ টেনেহিচড়ে ছিড়ে ফেলে এবং তার আপত্তিক স্থানসমূহে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহত ওই দুই শিক্ষককে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। এর মধ্যে আসমা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।