মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খিজির চৌধুরী এখন মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলাচ্ছে তার কর্তৃত্বের চিহ্ন। এ বিষয়টা কে মোটেও মেনে নিতে পারছেনা তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির নেতা ও কর্মীরা। কারণ তিনি দলের দুঃসময়ে সুযোগ বুঝে দল থেকে করেছেন পদত্যাগ ও দীর্ঘ সময় দল থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে। দলকে সংগঠিত করতে ছিলোনা তার কোন তৎপরতা।
বিগত বছরগুলোতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিরাজদিখান উপজেলার সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীকে মুন্সীগঞ্জ ১আসনে নির্বাচন করেন সেই নির্বাচনে খিজির চৌধুরী অর্থ দিয়ে জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন শুধু তাই নয় তিনি এমপি মহিউদ্দিন আহমেদ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মৃধার জন্য তার বাড়িতে নির্বাচনী সভার আয়োজন ও ভোট প্রর্থণা করেন সেই নির্বাচনেও অর্থ দিয়ে কঠোরভাবে তার নির্বাচনটি পরিচালনা করে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। বিগত বছরগুলোতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রর্থী ইকবাল হোসেন চোকদার ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাইদ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকটি নির্বাচনই বেশ সফলতার সাথে অংশগ্রহণ ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন।
তিনি সবসময়ই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দারুন ভাবে সখ্যতা বজায় রেখেছেন । নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা,কর্মী ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা অভিযোগ করে বলেছেন খিজির চৌধুরী তো আমাদের বিএনপির কেউ নয় কারণ তিনি সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। খিজির চৌধুরী একজন সুবিধাবাদী লোক সরকার দলের ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক নেতাকর্মীদের অত্যাচার করেছেন পা চেটেছেন হাসিনা সরকারের নেতাদের। এখন তিনি বিএনপির কিছু অসাধু নেতাদের টাকার বিনিময়ে সেজেছেন বড় বিএনপির নেতা। তাদের প্রশ্রয়ে তিনি হচ্ছেন বেপরোয়া। অথচ দল থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এসকল সুবিধাবাদী লোককে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমর্থন করেনা ও কোন নেতাকর্মী যেন তাদের কোন প্রকার সহোযোগিতা না করে। তিনি বাদ দেননি তার গ্রামের নিরীহ সমাজ বাসীদেরকে। এজন্য গ্রামবাসী তার দাদার নির্মাণকৃত মসজিদ থেকে একযোগে বের হয়ে গিয়েছেন সমাজের একশত ৩৫ টি পরিবার। নির্মাণ করেছেন নতুন মসজিদ। কারণ তিনি স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়েছেন সব সময় সবার সাথে। তার হাত থেকে রেহাই পায় নি কোন শ্রেণি পেশার মানুষ। ক্ষমতা দেখিয়ে ও টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে বিচারের নামে করেন মানুষিক অত্যাচার ও অপমান। তার ভাগীনা ও সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে তিনি কায়েম করতে চেয়েছেন প্রভু ও দাসত্বের নির্মম সমাজ ব্যবস্থা। নিজের মসজিদ বলে দীর্ঘ বছর কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন মসজিদের কমিটি ও সভাপতি পদ শুধু তাই নয় গ্রামের লোক যদি তার বিপক্ষে কথা বলতো তাহলেই তাকে স্বীকার হতে হতো তার আক্রোশের স্বীকার । তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা গ্রামের লোকদের সব সময় নিগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যেত।তিনি এমন একজন জঘন্য লোক। তাই আমাদের সকলের আশা তার বিরুদ্ধে যেন দল ও কেন্দ্রীয় নেতারা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং বিএনপি দল থেকে এ সকল সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানী লোকদের বিতাড়িত করেন। জেল-জুলুম আমরা খেটেছি। খিজির চৌধুরী তো জেল খাটেন নি। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা। একে প্রতিহত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব দলের স্বার্থে। প্রয়োজনে আমরা তার বিরুদ্ধে মাঠে কঠোর কর্মসূচি দিবো।
প্রতিবেদক অভিযোগের ব্যাপারে খিজির চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন আমি একটি প্রোগ্রামে আছি এ বিষয়ে আমি আপনাকে পরে ফোন দিবো এবং একটি সংবাদ সম্মেলন করবো।
খিজির চৌধুরীর এসকল কর্মকান্ড ও নেতা কর্মীদের ক্ষোবের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে জানতে চাইলে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুল বলেন,,, খিজির চৌধুরীর পদত্যাগ পএ পেয়েছি কথা হচ্ছে একজন পদত্যাগপত্র জমা দিতেই পারে দল এখনোও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি আর আপনাদের যদি ডকুমেন্টস থাকে সেগুলো আমাদের অবগত করুন আমরা যাচাইয়ের মাধ্যমে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো দল থেকে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে।