এস এ আখঞ্জী,তাহিরপুরঃ
নিয়তির ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে চলে গেলেও, এ ধরায় তাঁর সৃষ্টি গল্পগ্রন্থ, সাহিত্য, পন্ডিত্ব সহ অনন্য প্রতিভার মাধ্যমে বেঁচে আছেন, খ্যাতিমান, প্রখ্যাত সাহিত্যক, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের কৃতি সন্তান, নানান গুণের অধিকারী,অধ্যাপক শাহেদ আলীর জন্মদিন পালিত হয় প্রতি বছরের ২৬ মে ।
অধ্যাপক সাহিত্যিকশাহেদ আলী ১৯২৫ সালের ২৬ মে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওরের কুলঘেষা মাহমুদপুর নামক এক অজপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।গতকাল (২৬ মে) শুক্রবার ছিল তার ৯৮তম জন্মদিন।কিন্তু এই অনন্য প্রতিভার অধিকারীর জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিতে দেখা গেলেও,কোথাও কোন কর্মসূচি পালিত হয়েছে এমনটা চোখে পড়েনি।,অথচ বিভিন্ন সুত্রমতে জানাযায় তিনি লিখনীর ভাষায় তুলে ধরেছিলেন এই প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের খেটে খাওয়া জনমানুষের জীবনবৈচিত্রের সার্থক প্রতিচ্ছবি,সাহিত্যের ভাষায় করে গেছেন অন্তহীন সংগ্রাম। যার গল্পে ছিলনা কোন সংঘাত,হিংসা-বিদ্বেষ অত্যাচার-নিপীড়ন,অরাজকতা -পৈশাচিকতা।শুধুই মানবিক শুনাবলিতে ফুটে উঠেছিল উনার লিখনির ভাষার গল্পগ্রন্থ।দেশের মুসলিমজাতির মধ্যে যে কয়জন ছোট গল্পকারগনের গল্প লিখা চোখে পড়ে তার মধ্যে অধ্যাপক সাহিত্যিক শাহেদ আলী নানা দিক বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য।উনার গল্পগ্রন্থ চোখে পড়লেই খুঁজে পাওয়া যায় ভাটি অঞ্চল হাওর পাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না জীবন চলার নানা প্রতিকূলতার সংগ্রাম ইত্যাদি। তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে একজন ইসলামিক চিন্তাবিদ ছিলেন এবং তা তিনি হৃদয়ে লালন করতেন।যাহা তার লিখনীর ভাষায় ফুটে আছে আজ ইতিহাসের পাতায়।জানাযায় তিনি মুসলমানের জীবনকাহিনী যেভাবে লিখতে ভালবাসতেন তেমনি গল্পগ্রন্থ লিখতে শব্দ ব্যবহারেও ছিলেন অত্যন্ত সচেতন।তিনি তার গল্পে ব্যবহার করেছেন জন্মভূমি বাংলার নিজস্ব ভাষা।যাহা বাংগালী জাতির জনজীবনের চলমান শব্দাবলী।তার গল্প পড়লে সহজেই বলা যায় গল্পের উদ্দেশ্য। তিনি লিখনির ভাষায় যেমনি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতেন তার কল্পনার ভুবন, তেমনি তিনি চিন্তামগ্ন করতেন প্রায়শই তার জন্মভূমি গ্রাম বাংলা হাওর পাড়ের গরীব-দুঃখী মেহনতি বিন্ন পেশাদ্বার জনমানুষের কথা।অথচ তার জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকীতে কোন কর্মসূচি চোখে পড়েনি।
হাওর পাড়ের তরুণ সংবাদকর্মী সাংবাদিক আহম্মদ কবির বলেন,অধ্যাপক সাহিত্যিক শাহেদ আলী হচ্ছে আমাদের এই প্রত্যন্ত হাওরবাসীর গৌরব উনার জন্ম-মৃত্যুদিনে আমরা কোন কর্রসূচি পালন করতে না পারা অত্যন্ত লজ্জাজনক। উনার ইতিহাস জন্ম-মৃত্যুদিনে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হাওর পাড়ের সকলের দায়িত্ব।
একইভাবে অধ্যাপক সাহিত্যিক শাহেত আলীর জন্মভূমি মাহমুদ গ্রামের পার্শ্ববর্তী কাউহানি গ্রামের বাসিন্দা যুবদল নেতা এনামুল হক শান্ত বলেন এই অঞ্চলের অন্যন্য প্রতিভার অধিকারী,যিনি এই হাওর পাড়ের গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের কথা সবসময় উনার লিখার ভাষায় তুলে ধরতেন।দেশব্যাপী যার পরিচয় সুনাম ছড়িয়ে আছ।অথচ আমরা উনার ইতিহাস ভূলে গেছি,উনাকে নিয়ে কোন কর্মসূচি করতে দেখিনি। উনি বলেন উনাকে নিয়ে হাওর পাড়ে একটি স্মৃতি সংঘ গঠন করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে উনার জন্ম-মৃত্যুদিনে কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
Comments are closed.
Itís hard to find knowledgeable people for this subject, but you seem like you know what youíre talking about! Thanks