শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেলো শতাধিক রোগী মুন্সীগঞ্জে গজরিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই মেঘনা ভিলেজের মুদি দোকান নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে মুন্সিগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু কালিগঞ্জে রোমানিয়া প্রবাসীর অফিসে হামলা চালিয়েছে দুবৃত্তরা সুইজারল্যান্ডে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জুরিখ বিএনপির প্রস্ততি সভা মুন্সীগঞ্জে মরহুম গোলাম মোস্তফা ওরফে (মেঘু মোল্লা)র ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ও দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই,দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই:এ্যাডঃ এ,বি,এম,সেলিম সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন  মধ্যনগরে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা

প্রচন্ড রোদ ঘামে ভেজা টাকা দিলেন রিকশাচালক মনির

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৬৭ বার পঠিত

 

নির্বাহী সম্পাদক আজহারুল ইসলামঃ

সমকাল অফিস থেকে বের হয়ে চ্যানেল আই ভবনে যাচ্ছিলাম। শত শত গাড়ি আটকে আছে সড়কে। ফুটপাতেও ভীড়, এরই মধ্যে পেছন থেকে আমার নাম ধরে কেউ একজন ডাক দিলেন। বুকটা যেনো কেমন করে উঠলো! এখানে তো কেউ আমাকে চেনার কথা না। ডাকটি কোথাও বাঁধাপ্রাপ্ত না হয়ে সরাসরি আমার কানে এসে ধাক্কা লাগে। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি রিকশার হ্যান্ডেল হাতে মনির হোসেন পান খাচ্ছেন। কাছে এগিয়ে যেতেই জড়িয়ে ধরলেন মনির। তার শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল, মনিরের ঘামের গন্ধ নাকে আসার সঙ্গে সঙ্গে আব্বার কথা মনে পড়ে গেলো আব্বার শরীরে ঘামের গন্ধও মনিরের ঘামের মতোই ছিল।

মনিরকে আমি চিনি, আমাদের পাশের গ্রামের মানুষ। তবে নামটা মনে করতে পারছিলাম না। তিনি নিজে থেকেই তার পরিচয় দিতে শুরু করলেন। এবার আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম। বুকে বুক মিলিয়ে পুনরায় তার ঘামের গন্ধ নিলাম। বাড়ি থেকে গিয়ে ঢাকায় রিকশা চালান তিনি। আমার প্রতি তার দরদ ও ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়ছিলাম।

মনিরের সঙ্গে থাকা টাকাগুলো ঘামে ভিজে গেছে। ঘামে ভেজা কিছু টাকা বের করে আমাকে বললেন, এই নেও কিছু খাইয়া যাও’। আমার চোখ ভিজে উঠলো আহা দরদ ভালোবাসা! আব্বাও যখন বুক পকেট থেকে বের করে আমাকে টাকা দিতেন সে টাকাও এমন ভেজা থাকতো। খুব বিনয়ের সঙ্গে মনির ভাইয়ের টাকাটা হাতে নিলাম ঠিকই, কিন্তু আবার তাকেই সে টাকা ফিরিয়ে দিতে আমার বিবেক বাধ্য করলো।

মনির ভাই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন! ছলছল করে উঠছিল তার চোখ। এবার আমার পকেট থেকে বের করে মনির ভাইকে কিছু। কিন্তু নিতে চাইলেন না, মনির তার সমস্ত বিনয় ঢেলে দিয়ে ‘ না ‘ করছিলেন। খুব জোর করে তার হাতে দিলাম। যাক সে কথা। তার সঙ্গে আরও অনেক কথা হয় আমার। কেমন এক মায়ায় জড়িয়ে পড়ি।

বিদায় বেলায় মনির ভাই বললেন  দেইখ্যা যাইয়ো কিন্তু ভাই! বাড়িতে আইলে দেহা করুমনি । আমি বারবার তার দিকে ফিরে তাকাই আর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন অপলক দৃষ্টিতে  রিকশার হ্যান্ডেল তখনও তার হাতে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।