সোমবার রাত সাড়ে ১২টার পর বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে ও ডাম্পার ট্রাকটির চালক মো. বাপ্পী (২৩), একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আলম ওরফে কানা ছৈয়দ (৪০) ও তার ছেলে মো. তারেক (২০), রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার নুরুল আলম মাইজ্জার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৭), হরিণমারা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (৩৫), আব্দুর রহিমের ছেলে শাহ আলম (৩৫), হিজলিয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (৫০), একই এলাকার ফরিদ আলম ওরফে ফরিদ ড্রাইভারের ছেলে মো. রুবেল (২৪) এবং হরিণমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার (৩৯)।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫/৬ জনকে। এদিকে সাজ্জাদুজ্জামানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন বিভাগের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যার দু’দিন পার হলেও প্রশাসন হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কিছু মানুষের হাতে দেশের বন ধ্বংস হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
এর আগে রোববার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনরক্ষার অভিযান চালাতে গিয়ে ‘পাহাড়খেকোর’ ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় বনবিভাগের কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে রাতে অভিযানে নামেন সাজ্জাদুজ্জামান। হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালি সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) সাজ্জাদকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাম্পারের চাপায় পিষ্ট হয়ে ওই বন কর্মকর্তার মস্তিষ্ক দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে আহত হন আরও একজন।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক ডাম্পারটি হরিণমারার ছৈয়দ করিমের। স্থানীয়ভাবে তিনি পাহাড়খেকো নামে পরিচিত। বাপ্পি নামের এক যুবক ঐ ডাম্পার চালাচ্ছিলেন।
নিহত সাজ্জাদুজ্জামানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। এক কন্যা সন্তানের জনক সাজ্জাদের পিতা মোহাম্মদ শাহজাহান । তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বনবিভাগে যোগ দেন।