মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালে বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে বিভাগ জুড়ে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা|গণসমাবেশের আগেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়েছে।গতকাল বুধবার রাতে সমাবেশ স্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানের (বেলসপার্ক) আশপাশ এলাকা সমূহসহ বিভিন্ন স্থানে একই ভাবে ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।এই ঘটনায় বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠন যুব ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক জানান,গণসমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানের আশপাশ এলাকাসহ জিলা স্কুল মোড়ে বেশ কিছু ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়ে ছিলেন।বুধবার রাতে যেকোনো সময়ে কে বা কারা যেনো বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার ছবি সংবলিত ব্যানার গুলো ভেঙে ফেলে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার অনুসারীরা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে তাকে অবহিত করেন।
এই ছাত্রদল নেতা অভিযোগ করে বলেন,বিএনপির গণসমাবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনতার স্রোত রোধে বিভাগের একাধিক জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ভাবে কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে, করেছে রক্তাক্ত।কিন্তু এতেও সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি রোহিত করা সম্ভব নয়, বুঝতে পেরে এখন ব্যানার-ফেস্টুন ভেঙে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে।
এই বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলীয় দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য না পাওয়া গেলেও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙা বা ছেড়ার নেপথ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের কোনো পক্ষ জড়িত থাকার আভাস দিয়েছে একটি সূত্র।
সূত্রটি জানায়, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক ব্যানার ও ফেস্টুন গুলো যেভাবে ভাঙা হয়েছে, তাতে অনুমেয় বিভাজনের রাজনীতি এবং তাদের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেও স্বদলীয় কোনো পক্ষ এমনটি করতে পারে। অবশ্য ছাত্রদল নেতা তারেক এই বিষয়টি সন্দেহ করলেও আপাতত তিনি ছাত্র ও যুবলীগ নেতা কর্মীদের দিকেই আঙ্গুল তুলছেন।
তারেকের দাবি, শুধু মাত্র তার ব্যানার-ফেস্টুন নয়, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবর রহমানসহ আরও বেশ কয়েকজনের ব্যানারও ভাঙচুর করা হয়েছে।বুধবার গভীর রাতে যে কোনো সময়ে এই অঘটন ঘটিয়েছে।
গণতান্ত্রিক দেশে বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের এভাবে চেপে ধরা হীন মানসিকতার জানান দেওয়া এবং যেটা বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে উদ্বেগের বিষয়ও বটে। কিন্তু এতকিছুর পরেও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি রোহিত করতে পারবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন এই ছাত্রদল নেতা।