মোঃ শফিকুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈচিত্রময় চাকিরপশার বিল
যেইখানেতে বিরাজ করে শান্তি অনাবিল
মাছে ভাতে পাবেন খুঁজে চিরাচরিত মিল।।
কুড়িগ্রাম জেলাধীন রাজারহাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস প্রসিদ্ধ চাকির পশার বিল
লোকমুখে শোনা যায় শিবের দহ বিল নামে ও পরিচিত পাশাপাশি পৃথক পৃথক ভাবে বাঁশের দহ, পাঠান ডারা বিভিন্ন নামে সুপরিচিত সব মিলে চাকিরপশার বিল নামে সুপরিচিত এমনকি এই ঐতিহ্যবাহী বিলের নামে নামকরণ হয় চাকিরপশার ইউনিয়ন প্রতি বছর সরকারি ভাবে জলমহাল ইজারার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
পাশাপাশি বেকার যুবসমাজের একটি বড় অংশ বিল চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার একটি যুগ-উপযোগী মাধ্যম। বিশেষ করে এই
বিলে শতাধিক মৎস্যজীবী এখান থেকে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। চাকিরপাশার বিলের মিঠা পানির মাছ অত্যান্ত সুস্বাদু যাকিনা একবার খেলে আবারো পেতে চায়।এই বিলের মাছ কুড়িগ্রাম জেলা সহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করে থাকে। পদ্ম আর লাল শাপলার সমারোহ প্রকৃতিকে এনে দেয় এক অসাধারণ সৌন্দর্যের লীলাভূমি, উপভোগ
করতে দুর দূরান্ত থেকে আসেন অসংখ্য দর্শনার্থী বিলে বিচরণ করে অবাধে পানকৌড়ি, বালিহাঁস ও সাদা মাথা উঁচু বলাকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। শুকনো মৌসুমে বিলের চারপাশে মালিকানাধীন জমিগুলো ধান চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা দুই মৌসুমের ধান এক মৌসুমে ফলান। সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল নদী বাঁচাও আন্দোলনের নামে চাকিরপশার ঐতিহ্যবাহী এই বিলকে নদে পরিনত করার অসাধূ প্রচেষ্টা ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে মনগড়া স্মারক লিপি প্রদান করে রাজারহাট উপজেলাবাসী তথা চাকিরপশার ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে অসংখ্য কৃষক,জেলে, বেকার যুবকের পেটে লাথি মারার সুদীর্ঘ পরিকল্পনা করেন এরই পরিপ্রেক্ষিতে অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী বলেন চাকিরপশার বিলকে নদে পরিনত করার অসাধূ প্রচেষ্টাকে কখনই সফল হতে দেবেনা,এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলার সর্ব স্তরের জনসাধারন
তুহিন ওয়াদুদের মিথ্যা অপপ্রচার কে প্রতিহত করার জন্য সদা প্রস্তুত আছেন বলে জানান।