সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাক) এর মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি হাসেম  জুলাই বিপ্লবের অন্যতম কারিগর জাজাকাল্লাহ সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎ  মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে  বনভোজন  অনুষ্ঠিত । ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সহকারীদের মানববন্ধন  মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চরকেওয়ারে‎ শ্রীনগর থানা পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন সাইদুর রহমান ফকির । মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দুই নেতাকে জড়িয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা সিরাজদিখানে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা, টাকা-স্বর্ন লুট, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ভাই-বোনকে বাঁচিয়ে নিজের জীবন দিলেন সৌদি আরবের এক সাহসী তরুণী

আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৪৮ বার পঠিত

আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ

মারাত্মক এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ২১ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রিমা মান্না রশিদ। তবে তাঁর এমন মৃত্যুকে বীরত্ব এবং সাহসী বলে আখ্যায়িত করছেন সৌদি আরবের সর্বমহলের জনসাধারণ । মূলত নিজের জীবন দিয়েই ছোট তিন ভাই-বোনকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন রিমা ।

তথ্যে জানা যায়, কয়েক দিন পরই সৌদি আরবের কিং খালিদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্টে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রিমার। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনে যাচ্ছিলেন তিনি। গন্তব্য ছিল রিজাল আলমা প্রদেশের হাসওয়া নামে একটি গ্রামে। পথে একটি পাহাড়ি রাস্তায় তাঁদের বহন করা গাড়িটিতে হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।

এমতাবস্থায় বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য গাড়ি থেকে নেমে যান রিমার বাবা ও বড় ভাই। কিন্তু তারপরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। গাড়িটি হঠাৎ পাহাড়ি ঢাল বেয়ে তীব্র বেগে ছুটতে শুরু করে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে গাড়িতে থাকা ছোট দুই ভাই-বোনকে অনেক চেষ্টায় বাইরে ছুড়ে মারেন রিমা। তবে ভাই-বোন বেঁচে গেলেও নিজে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে । গাড়িটি পাহাড়ের প্রায় ৪০০ মিটার নিচে গিয়ে আছড়ে পড়ে এবং তিন টুকরো হয়ে যায়। মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রিমা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে রিমার বাবা জানান, রিমা চাইলেই নিজেকে বাঁচাতে পারতো। কারণ, সে দরজার পাশেই বসেছিলেন। তবে সে এটি না করে ছোট দুই ভাই-বোনের প্রাণ বাঁচানোকেই প্রাধান্য দিয়েছে ।

 

রিমার মৃত্যুর খবরটি দিয়ে তাঁর এক আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ‘পরিবারের প্রতি রিমার ভালোবাসার কথা সবাই জানে।কিন্তু জীবন উৎসর্গ করার আগে ভাই-বোনদের কাছে মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন রিমার । অবশেষে নিজের শেষ নিশ্বাস দিয়ে ভাই বোনদের জীবন রক্ষা করে গেলেন ।

রিমার এমন সাহসিকতা এবং ভাই বোনদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সৌদি আরবের সর্বস্তরের জনসাধারণ ।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।