এম এ মান্নান, মধ্যনগর,সুনামগঞ্জঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর রায়ে সুবিচার পেল দুই ভূমিহীন পরিবার। খাস জমি বন্দবস্ত পেলেও ভোগদখল করতে বাধা দিতো এলাকার এক প্রভাবশালী। যার ফলে ৩ বছর অনাবাদি ছিল ৩ একর ৮২ শতাংশ ফসলি জমি। জবরদখল ও অনুপ্রবেশকারী মো.গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ৩ বছর আগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মো.জসিম উদ্দিন ও আজম খাঁ। গত ৯ ডিসেম্বর ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.গিয়াসউদ্দিন তাদের পক্ষে রায় দেন।দ্রুত সুবিচার পেয়ে তারা জমিতে চাষাবাদের সুযোগ পাওয়ায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো.গিয়াস উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,ডাঃ গোলাম মোস্তফা গংরা সরকার কতৃক বন্দবস্তের জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালায়। অতঃপর অভিযুক্ত ডাঃ গোলাম মোস্তফা এই জমি তার নিজের মালিকানা দাবী করেন। এবং ২০২১ সালে দুই পক্ষেই মালিকানা দাবী করছিল, পরে একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। পরে একই গ্রামের ভূমিহীন আজম খা ও পার্শ্ববর্তী বলরামপুর গ্রামের ভূমিহীন মোঃ জসীম উদ্দিন বাদী হয়ে,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ডাঃ গোলাম মোস্তফা গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বিচারক ২০২৪ এর ৯ ডিসেম্বর দুই পক্ষের শুনানীর পর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ভূমিহীনের পক্ষে এই রায় দেন যে, ভূমিহীন মোঃ জসীম উদ্দিন ও আজম খা এই জমি মালিকানা ও ভোগদখল করিবে। এতে বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ গিয়াস উদ্দিন সুবিচার প্রতিষ্ঠা করায়, এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এম এ মান্নান, ০১৩১৮৩২৭২৮০ ১৪/১২/২৪