এম এ মান্নান, মধ্যনগর,সুনামগঞ্জঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে তিন চেয়ারম্যানেই অনুপস্থিত,দিলেন গাঢাকা চামরদানী ইউনিয়ন রয়েছে দপ্তর বিহীন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গাঢাকা দিলেন চেয়ারম্যানরা। এরিমধ্য মধ্যনগর ও বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন ইউপি সদস্য আঃ ছাত্তার ও দেলোয়ার হোসেন। তারা নিজ নিজ ইউনিয়নে দাপ্তরিক কাজ চালাতে দেখা গেছে। এবং চামরদানী ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য রয়েছে । এ অবস্থায় চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়নের জনগণ পড়েছে বিপাকে, দাপ্তরিক কাজ ও নাগরিক সেবা রয়েছে বন্ধ,পাচ্ছেনা নাগরিক সনদ, উত্তর সুরি সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ,মৃত্যু সনদ ইত্যাদি। পরিষদের দাপ্তরিক সেবা না থাকায় ইউনিয়নবাসী হচ্ছে হয়রানির শিকার।
জানা যায়, বৈষম্যের বিরোধী ছাত্র জনতার আনদোলনে ৫ আগস্ট সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ায়, এবং সরকার পতনের পর থেকেই, আওয়ামী লীগের অনেকেই এলাকা ছেড়ে দিয়ে, গা-ঢাকা দিয়েছেন চেয়ারম্যান সহ পদধারী নেতারা। এরমধ্যে মধ্যনগর সদরের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু, চামরদানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খসরু ও বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাসেল আহমেদ সহ গা ঢাকা দিয়েছেন।
এর মাঝে মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৩ মাসের জন্য লিখিত ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ ছাত্তারকে, সে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবং বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৩ মাসের জন্য দায়িত্ব হস্তান্তর করেন, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেনকে, সেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অথচ চামরদানী ইউনিয়নে কোন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান না থাকায় দাপ্তরিক কাজ এবং নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্থ চরমে ওঠেছে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এলাকার মানুষ। এবিষয়ে ইউপির সচিব লিটন মিয়া’র কাছে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান অনুপস্থিতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গাড়ি এক্সিডেন্ট করে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছি। ৮ অক্টোবর থেকে চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু সাহেব কোথায় আছেন আমি জানিনা। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে, দপ্তর বিহীন পরিষদের কাউকে লিখিত ভাবে দায়িত্ব না দেওয়ার কারণ কি? দাপ্তরিক সেবা না পেয়ে, এনিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনার ঝড়। এটাও জানা যায় যে,চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন মেম্বারের মধ্যে ৮ জনেই আওয়ামী লীগ পন্থি, এছাড়া বিএনপি পন্থির মেম্বার আছেন একজন ,উনি হলেন ৮ নং ওয়ার্ডের নূরুল ইসলাম নূরু মিয়া। তিনি বিএনপি পন্থির লোক হওয়ায়, ঐ ইউপি সদস্য নূরু মিয়া চেয়ারম্যানের পছন্দের না হওয়ায়, তাকে লিখিত ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যার ফলে পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়তে দেখা গেছে । এসকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর জোর দাবি।
এম এ মান্নান,
০১৩১৮৩২৭২৮০
১৭/১১/২৪