মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে সাবেক বিএনপির এক নেতার সঞ্চালনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সংবাদে বিবৃতি প্রদানকারী দায়িত্বশীল নেতাদেরকে কুচক্রি মহল হিসেবে উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন নূরী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার যৌথ স্বাক্ষরে এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওই সংবাদে বিবৃতি প্রদানকারী নেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা কর্মসূচির আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গিয়াস উদ্দিন নূরী তালুকদার। কিন্তু মধ্যনগর থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহম্মেদকে আলোচনা সভা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাসেল আহম্মেদ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে সিনিয়র নেতাদেরকে বক্তব্যের সুযোগ ও সম্মান না দিয়ে যেনতেনভাবে আলোচনা সভা শেষ করেন। পরে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে রাসেল আহম্মেদের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ও দায়িত্বশীল নেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে রাসেল আহম্মেদকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য করা হয়েছে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু সংগঠনের দায়িত্বশীল অনেক নেতার কাছেই বিষয়টি অজানা রয়েছে। ফলে রাসেল আহম্মেদের এমন কর্মকান্ড নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন।
মধ্যনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সভাপতি সাংবাদিক আতিক ফারুকী বলেন, অসংগতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকদের দায়িত্ব। সংবাদে প্রকৃত সত্য বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা উপজেলা আওয়ামী লীগকে হেয় করার উদ্দেশ্যে করা হয়নি। যাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাকে নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি। ফলে এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলে মনে হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সজল কান্তি সরকার বলেন, বিএনপিকে বিএনপি বলা, জামায়াতকে জামায়েত বলা, সত্যকে সত্য বলা উচিত। দলে যাকে সদস্য করা হয়েছে আমরা তা সাংগঠনিক নিয়মে জানি না। যারা অসাংগঠনিক কাজ করে তারাই মূলত কুচক্রী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন প্রথমে রাসেল আহম্মেদকে সদস্য করার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানালেও পরে আবার বলেন, জেলা কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারির সাথে কথা বলেই সম্ভবত সদস্য হয়েছে। উপজেলা সেক্রেটারির কাছে নাকি যাবতীয় কাগজপত্র আছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার বলেন, রাসেল সম্পর্কে গণমাধ্যমে যে বক্তব্য এসেছে তার বিষয়ে আলাদা সংবাদ সম্মেলন করব। যাতে উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সাময়িক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রাসেলকে জেলা কমিটি সদস্য করেছে। এর ডকুমেন্ট আমরা সরবরাহ করবো।