এম এ মান্নান,মধ্যনগর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা সদর হতে ভারত সীমান্তবর্তী উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের শেষ সীমানা পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত (মহিষখলা টু মধ্যনগর) যোগাযোগের প্রধান সড়কটি যাতায়াত এর অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।ফলে চামরদানী সহ উত্তর বংশীকুন্ডা ও দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন এর লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদরে আসতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে,প্রতিনিয়ত ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
জানাযায় উপজেলার সবচেয়ে জনগুরত্বপূর্ণ এই সড়কটি ২০১০-২০১১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ১২ কি.মি.রাস্থা নির্মাণ করা হয়।নির্মাণকালে হাওরের ঢেউয়ের কারণে সৃষ্ট ভাঙন ঠেকাতে পাকা ব্লকের পরিবর্তে বালুভর্তি বস্তা দেওয়া হয়, যা নির্মাণের ২/৩ বছরের মধ্যেই ঢেউয়ের আঘাতে ধসে পড়ে।ইট বিছানো সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙন ধরার ফলে ইটগুলো সরে গিয়ে মরণ পাদে পরিণত হয় সড়কটি।এমনিতেই ভাঙাচোরা, আর এ বছর বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সড়কটি। দুই পাশে হাওর থাকায় ঢেউয়ের তোড়ে সড়কের কোন কোন অংশ বিলীন হয়ে গেছে হাওড়ের সাথে।টাংগুয়ার হাওর,নীলাদ্রি,সিরাজ লেক,শিমুল বাগান সহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা উপভোগ করতে আসা পর্যটক সহ হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি চলাচল করছে এ সড়ক দিয়ে।জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে স্থানীয় লোকজনের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে।
উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুন্নবী তালুকদার বলেন-এই রাস্তাটি উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী এলাকা মহিষখলা থেকে উপজেলা সদরে আসতে জীবনের ঝুকি সহ কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হয় ফলে অনেকেই উপজেলার সুবিধা নিতে পারছে না।
মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান জানান-গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পুনঃসংস্কারের জন্য সার্ভে করা হয়েছে৷ আশাকরা যায় এই অর্থ বছরেই পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু হবে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন-এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নিয়ে আমি জেলা সমন্বয় সভায় কথা বলেছি।এটি উড়ালসেতু সংযোগ রাস্তা হিসেবে দ্রুত সংস্কার করা হবে।