মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মোবারকপুর বাবুপাড়া গ্রামে এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খরিদকৃত জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়া ও সেই জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষরা কোনো বিচার শালিস না মেনে জমিতে থাকা গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনাটি উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর বাবুপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ভুক্তভোগী মোবারকপুর বাবুপাড়া গ্রামের শ্রী রাধারঞ্জন দাস বাদী হয়ে, সঠিক বিচার চেয়ে একই গ্রামের আব্দুল মালেক গাজীর মেয়ে হোসনেয়ারা বেগম (দুলি) ও বজলুর রহমানকে বিবাদী করে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গেছে- ভুক্তভোগী শ্রী রাধারঞ্জন দাস উল্লেখিত স্থানের স্থায়ী বাসিন্দা। তার পৈত্রিক ভিটা সংলগ্ন ৩০৩৯ দাগ থেকে ১৯৯১ সালে ৬ শতক ও ২০০৪ সালে ৩ শতক জমি আনন্দ ঘোষের নিকট থেকে এবং ৩০৪১ দাগ থেকে ১০/০৫/২০২২ সালে রত্না দাসের নিকট থেকে ৪ শতক জমি মোট ১৩ শতক জমি খরিদ করেন। সেই থেকে শ্রী রাধারঞ্জন দাস জমির সরকারী খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। ওই জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজি ও বনজি গাছ রোপণ করেন রাধারঞ্জন দাস। অভিযোগ রয়েছে- তাদের খরিদকৃত ১৩ শতক জমির মধ্য থেকে ৬ শতক জমি প্রতিপক্ষ হোসনেয়ারা বেগম (দুলি) এবং বজলুর রহমান তাদের দাবী করে জবর দখলের পায়তারা করছে। তারা ওই জমির উপর থেকে মূল্যবান কিছু গাছ কেটে নেওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে রাধারঞ্জন দাসরা বাঁধা দিলে নানাভাবে হুমকি দেয় তারা। এঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে রাধারঞ্জন দাস বাদী হয়ে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে ঘটনাটি বিচারাধীন রয়েছে। জমির মালিক পক্ষের মিলন দাস বলেন- বিগত কয়েক বছর ধরে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে এলাকার হোসনেয়ারা বেগম (দুলি) এবং বজলুর রহমান। এরা সম্পর্কে ভাই-বোন। এবিষয়ে হোসনেয়ারা বেগম দুলির বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে, তাকে পাওয়া যায়নি। একারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মশিউর রহমান বলেন- এবিষয়টি নিয়ে একটা ঝামেলা চলছে। রাধারঞ্জন দাস বাদী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যে মামলাটি করেছে, সেই ঘটনায় উভয় পক্ষের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে এবং উক্ত জমির উপর থেকে যে গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেটা পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ-২৪ ইউনিয়ন পরিষদে এবিষয়ে বসাবসি আছে। চেয়ারম্যান মহোদয় সহ আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি মিমাংসার জন্য।